ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

রোজায় পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে ৪ কার্যকর উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ০৪ ২০:৪১:৪৬
রোজায় পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে ৪ কার্যকর উপায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র রমজান এলেই জীবনযাত্রায় আসে পরিবর্তন। সেহরি, ইফতার, নামাজ ও তারাবিহর ব্যস্ততায় ঘুমের সময় কমে আসে। ফলে ক্লান্তি, অবসাদ এবং মনোযোগের অভাব দেখা দিতে পারে। কিন্তু সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। তাই রোজার মধ্যেও কিভাবে ঘুমের অভাব কাটিয়ে ওঠা যায়, সে বিষয়ে কিছু কার্যকর কৌশল নিয়ে এসেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডেইলি পাকিস্তান। আসুন, জেনে নিই সেই উপায়গুলো।

১. ঘুমের রুটিন সাজিয়ে নিন

রমজানে অনিয়মিত ঘুম বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই ঘুমের নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইফতার ও সেহরির মধ্যবর্তী সময়ে অন্তত চার ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন এবং ফজরের নামাজের পর আরও দুই ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিন। এতে শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাবে এবং রোজা রাখা সহজ হবে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো ও জাগ্রত থাকার অভ্যাস গড়ে তুললে শরীর দ্রুত নতুন রুটিনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে।

২. শৃঙ্খলাবদ্ধ ঘুমের সময় মেনে চলুন

রমজান মাসে পরিবর্তিত জীবনযাত্রার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে একটি নির্দিষ্ট ঘুমের সময়সূচি তৈরি করুন। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও জাগ্রত থাকার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটি আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়িকে স্থিতিশীল রাখবে এবং সহজেই ঘুমিয়ে পড়তে সহায়তা করবে। ঘুমের অভাবজনিত ক্লান্তি দূর করতে এটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি।

৩. ছোট ঘুমের বিরতি নিন

রমজানে দিনের বেলায় কিছুটা বিশ্রাম নিলে ক্লান্তি কমে যায় এবং শক্তি পুনরুদ্ধার হয়। বিশেষ করে ২০-৩০ মিনিটের ছোট্ট ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নিয়ে নিতে পারেন। তবে দীর্ঘ সময় ঘুমানো এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

৪. খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দিন

খাবারের সঙ্গে ঘুমের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ইফতার ও সেহরির সময় ভারী ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত ও চিনিযুক্ত খাবার হজম করতে শরীরকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়, যা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। পাশাপাশি, ঘুমানোর আগে চা, কফি বা ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পরিহার করুন। এতে ঘুম সহজ ও স্বস্তিদায়ক হবে।

রমজানের বিশেষ সময়সূচির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হলে ঘুমের রুটিন মেনে চলা, দিনের বেলায় স্বল্প সময় বিশ্রাম নেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা জরুরি। এসব কৌশল অনুসরণ করলে রমজানে ক্লান্তিহীন ও সুস্থ থাকা সম্ভব হবে। তাই এখন থেকেই ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন, যাতে ইবাদত ও দৈনন্দিন কাজ দুটোই ভালোভাবে সম্পন্ন করা যায়!

জামাল/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে