ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

দীর্ঘ ৪০ বছর পর বড় সুখবর পেল শিক্ষকরা

শিক্ষা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ০৪ ১২:০৫:১৯
দীর্ঘ ৪০ বছর পর বড় সুখবর পেল শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে দীর্ঘ ৪০ বছরের অপেক্ষার পর, ১,৫১৯টি নিবন্ধিত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এবং তাদের শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির সুবিধা লাভ করতে যাচ্ছেন। এই উদ্যোগের ফলে, মে মাস থেকে এসব শিক্ষকরা তাদের বেতন-ভাতা পেতে শুরু করবেন, যা তাদের পেশাগত মর্যাদার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট থেকে ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবনা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে, যা এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। এটি স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করার প্রচেষ্টা, যা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হবে।

ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির সুযোগ পাচ্ছেন। যদিও আগে একাধিকবার ইবতেদায়ী মাদ্রাসার জাতীয়করণের চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে তা কখনোই বাস্তবায়িত হয়নি। তবে ২৮ জানুয়ারি শাহবাগে শিক্ষকদের আন্দোলনের পর সরকার নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেয়, যার মাধ্যমে প্রায় ১,৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে জাতীয়করণ করা হবে এবং এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে।

দেশে বর্তমানে ৬,৯৯৭টি কোডভুক্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে, তবে প্রথম ধাপে ১,৫১৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত হবে, যার ফলে প্রায় ৬,০০০ শিক্ষক এই সুবিধা লাভ করবেন। প্রতিটি মাদ্রাসার জন্য একজন প্রধান শিক্ষক এবং চারজন সহকারী শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে যাচ্ছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে এবং মে মাসের মধ্যে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এই উদ্যোগকে ঐতিহাসিক এবং সময়োপযোগী হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী স্তরের শিক্ষায় একটি সাদৃশ্য ছিল, তবে বেতন-ভাতায় বৈষম্য ছিল। সরকার সেই বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে।”

এই উদ্যোগের মাধ্যমে, শুধু ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা নয়, বরং সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি সরকারের আনুকূল্যও স্পষ্ট হবে। ৪০ বছর পর তাদের প্রাপ্য মর্যাদা ফিরে পেতে যাচ্ছে, যা এক নতুন সৃজনশীল দিগন্তের সূচনা করবে এবং দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।

কামাল/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে