ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে গভীর সংকট: গভর্নরের সতর্কবার্তা

অর্থনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ০৪ ১১:৫৮:১৩
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে গভীর সংকট: গভর্নরের সতর্কবার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত গত এক বছরে এক গভীর সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আকাশচুম্বী বেড়ে গেছে। বিশেষ করে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১৫ কোটি টাকায়, যা মোট ঋণের প্রায় ২০.২০ শতাংশ। গত এক বছরে এটি বেড়েছে প্রায় তিনগুণ, এক লাখ ২৯ হাজার ৩৩ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি বড় সতর্ক সংকেত।

এই অস্বাভাবিক ঋণ বৃদ্ধির পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। ব্যাংকগুলোর ঋণ দেওয়ার নীতি এবং সরকারের কিছু পলিসি পরিবর্তন বিশেষভাবে দায়ী। দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী গ্রুপগুলো, যেমন এস আলম গ্রুপ, ঋণ নিয়ে তা খেলাপি করে ফেলেছে, যা ব্যাংকিং খাতে বড় চাপ সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, আহসান এইচ মনসুর এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ঋণের খেলাপি পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি এবং ভবিষ্যতে এটি আরও বাড়তে পারে। তিনি উল্লেখ করেন যে, পূর্বে ১৮০ দিনের মধ্যে ঋণ খেলাপি হলেও, নতুন নিয়মে মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে ঋণ খেলাপি হতে পারে। এর ফলে, খেলাপি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর প্রভাব আরও গভীর হচ্ছে।

এই সংকট শুধু বেসরকারি ব্যাংকগুলোকেই আক্রান্ত করেনি, বরং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অবস্থাও উদ্বেগজনক। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩৬ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪২.৮৩ শতাংশ।

ব্যাংকিং খাতে এই বিপর্যয়ের বিস্তৃত প্রভাব দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনায় সংকট সৃষ্টি করতে পারে। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বারবার সতর্ক করেছেন যে, যদি খেলাপি ঋণ বেড়ে থাকে, তবে তা আর্থিক সংকটের দিকে দেশকে নিয়ে যেতে পারে। তবে, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজন, যা অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।

জামাল/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে