ঢাকা, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫, ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ: নতুন ১৬ নির্দেশনা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ০২ ১৫:৩১:১৬
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ: নতুন ১৬ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একাধিক কার্যক্রম চলছে, যা নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।

রোববার (২ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ

১. চিহ্নিত অপরাধী, সন্ত্রাসী এবং মাদক ও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে।

২. আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দক্ষতা বাড়াতে পুলিশ, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের অংশগ্রহণে ‘মানবাধিকার ও পরিবেশ সচেতনতা বজায় রেখে আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে।

৩. পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান, উপপুলিশ কমিশনার এবং সেনাবাহিনীর ব্রিগেড কমান্ডাররা প্রতিটি ঘটনায় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে গণমাধ্যমে ব্রিফ করছেন, যাতে জনসাধারণ সঠিক তথ্য পেতে পারে।

৪. রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং অপরাধপ্রবণ এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে বিশেষ টার্গেট এলাকাগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

৫. ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুলিশের নিয়মিত টহলের পাশাপাশি নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত নজরদারি চালানো হচ্ছে।

৬. ছিনতাইকারী, ডাকাত, কিশোর গ্যাং ও অন্যান্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করে দ্রুত গ্রেপ্তার নিশ্চিত করা হচ্ছে।

৭. প্রতিটি থানাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

৮. ঢাকার উপকণ্ঠে, বিশেষ করে টঙ্গী, বসিলা, কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।

৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিশীলতা বৃদ্ধিতে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ড সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো সম্ভব হয়।

১০. মিথ্যা তথ্য, গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

উচ্চপর্যায়ের তদারকি ও নীতি-নির্ধারণী পদক্ষেপ

১১. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত গভীর রাতে বিভিন্ন থানা, চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন।

১২. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে দেশের সকল প্রশাসনিক বিভাগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

১৩. রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদার করতে বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে স্থাপিত চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

১৪. প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করতে জেলা ও মেট্রোপলিটন পর্যায়ে মামলা পর্যবেক্ষণের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাতে নিরপরাধ ব্যক্তিরা হয়রানি থেকে রেহাই পান।

১৫. ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে মামলাগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।

১৬. প্রতিটি আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক ঘটনা গভীরভাবে পর্যালোচনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নিরাপত্তা জোরদার

সরকার আশা করছে, এসব নতুন উদ্যোগের ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন চালিয়ে যাবে, যাতে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

ঝর্ণা/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে