ঢাকা, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১

নতুন দল এনসিপি কে নিয়ে সরব ভারত, তুলছে একাধিক প্রশ্ন

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ০১ ১৯:০৭:১৬
নতুন দল এনসিপি কে নিয়ে সরব ভারত, তুলছে একাধিক প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)-এর আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে। ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে দলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আহ্বায়ক এবং আখতার হোসেন সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ১৫১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটিতে ১০টি শীর্ষ পদ রাখা হয়েছে, যা দলে নেতৃত্ব কাঠামোর দৃঢ়তা নির্দেশ করে।

দলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোরআন, গীতা ও বাইবেল পাঠ করা হয়, যা ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতি দলের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দেশব্যাপী আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

নাহিদ ইসলাম তার বক্তৃতায় বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই, যেখানে বিভাজনের সুযোগ থাকবে না, জাতীয় স্বার্থই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।’

তিনি শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনকে ‘ফ্যাসিবাদী শাসন’ বলে অভিহিত করেন এবং দাবি করেন, ‘জুলাই বিপ্লব’ বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। দলটি পারিবারিক রাজনীতির বাইরে এসে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান আন্তর্জাতিক পর্যায়েও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ভারতের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম ‘আনন্দবাজার’ তাদের ২৭ ফেব্রুয়ারির প্রতিবেদনে এনসিপি নিয়ে দুটি মূল প্রশ্ন তুলেছে। প্রথমত, জামায়াতের প্রাক্তন নেতারা কি এই দলে যুক্ত হবেন? প্রাথমিকভাবে এই গুঞ্জন থাকলেও পরবর্তীতে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তারা আপাতত দলের অংশ হচ্ছেন না।

দ্বিতীয়ত, এনসিপির সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। দলটির ৫০% প্রতিনিধি ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ ও ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ থেকে আসবে। নাহিদ ইসলাম আহ্বায়ক এবং আখতার হোসেন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিও বেশ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ছাত্র শিবিরের প্রাক্তন নেতা আলী আহসান জোনায়েদ ও রাফে সালমান রিফাতের দলে যোগদানের সম্ভাবনা একেবারে নাকচ করা হয়েছে। ফলে দলটি জামায়াতের প্রভাবমুক্ত থাকবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি নিজেকে গণতান্ত্রিক সংস্কার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তুলে ধরছে। তবে, এই রাজনৈতিক অভিযাত্রা কতটা সফল হবে, এবং জামায়াতের প্রাক্তন নেতাদের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক কতদূর গড়াবে—তা সময়ই বলে দেবে।

ঝর্ণা/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে