ঢাকা, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১

জাতীয় নাগরিক পার্টির চারটি বিষয় সবাইকে মুগ্ধ করার মতো

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ০১ ১৫:১০:৫২
জাতীয় নাগরিক পার্টির চারটি বিষয় সবাইকে মুগ্ধ করার মতো

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে, এবং সঙ্গেই শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। দলটির গঠন, উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও নেটিজনদের মধ্যে তোলপাড় চলছে। কিন্তু, আত্মপ্রকাশের সময় কিছু এমন বিষয় সামনে এসেছে যা অধিকাংশকে মুগ্ধ করেছে। চলুন, তা নিয়েই জানানো যাক চারটি বিশেষ দৃষ্টান্ত:

১. শহীদ রাব্বির বোনের ভূমিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির নাম ঘোষণা করেন শহীদ রাব্বির বোন, যা একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর নাম ঘোষণার জন্য সাধারণত শীর্ষ নেতাদেরই দেখা যেত, তবে এবার একটি পারিবারিক কণ্ঠস্বর দলের নাম ঘোষণার মাধ্যমে বিশেষ এক বার্তা দিয়েছে, যা নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সূচনা হতে পারে।

২. মঞ্চে হাঁটু গেড়ে বসা

দলের নেতা-কর্মীরা মঞ্চে চেয়ারে না বসে হাঁটু গেড়ে বসে ছিলেন, ঠিক যেমনটি আন্দোলনের সময় দেখা যেত। এই ব্যবস্থা প্রথাগত রাজনৈতিক ভূমিকা থেকে এক ধাপ সরে গিয়ে জনগণের সাথে তাদের একাত্মতা এবং পারিবারিক নেতা নয়, একাধিক নেতা থাকার বার্তা তুলে ধরেছে।

৩. হাসনাত আব্দুল্লাহর সবুজ জার্সি

হাসনাত আব্দুল্লাহ, যিনি সবুজ জার্সি পরে পরিচিত, সেই গেটআপ নিয়েই মঞ্চে হাজির হন। এটা তাঁর আন্দোলনের প্রতীকী পোশাক, যা শুধু কাকতালীয় নয় বরং রাজনৈতিক মঞ্চে তার উপস্থিতির এক বিশেষ প্রমাণ। এই পোশাকটি তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় এবং সংগ্রামের স্মৃতি বহন করছে।

৪. নাহিদ ইসলামের স্লোগান

মঞ্চে নাহিদ ইসলাম মাথায় লাল-সবুজ পতাকা জড়িয়ে স্লোগান তুলেন, ‘ক্ষমতা না জনতা?’। এটি ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী একটি মুহূর্ত, কারণ এই স্লোগানটি তখনকার এক নেতার মুখে শোনা গিয়েছিল, যিনি একদিন আগে ক্ষমতা ছেড়ে জনতার কাতারে চলে এসেছিলেন। এই স্লোগানটির মাধ্যমে দলের উদ্দেশ্য এবং জনগণের প্রতি তাদের সম্পর্ক স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

এই চারটি ঘটনা দেখিয়ে দিয়েছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজনীতিতে নতুন একটি তাজা হাওয়া আনতে প্রস্তুত। দলটির প্রত্যেকটি উদ্যোগ জনগণের প্রতি অঙ্গীকার এবং রাজনৈতিক ঐক্যের নতুন পথ তৈরি করতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঝর্ণা/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে