ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১

পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তা হত্যায় আওয়ামী লীগ সরকার

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২৫ ১১:৫৪:১৮
পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তা হত্যায় আওয়ামী লীগ সরকার

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শত্রুরা ষড়যন্ত্র করে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুর্বল করা এবং সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া।

সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানা ট্র্যাজেডির শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, "অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে তখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল। তারা পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনার সঙ্গে যোগসাজশ করেছিল এবং যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে দুদিন ধরে পিলখানায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।"

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, "আজ পর্যন্ত এই ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি। আমরা বারবার এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের দাবি জানালেও সরকার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে, সরকারকে ধন্যবাদ জানাই, অন্তত তারা এটিকে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। আমরা আশা করি, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার সত্য উদ্ঘাটিত হবে এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।"

বিএনপির মহাসচিব বলেন, "বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। আমরা প্রত্যাশা করি, সেনা সদস্যদের এই ত্যাগ বৃথা যাবে না এবং বাংলাদেশ সত্যিকারের স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।"

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে সংঘটিত ভয়াবহ বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নির্মমভাবে নিহত হন। এই ঘটনার পর দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কয়েকজনকে দণ্ড দেওয়া হলেও, বিরোধী দলসহ অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার হয়নি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে