ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১

সাত মাসে ৫১ হাজার কোটি টাকার বিশাল ঘাটতি

অর্থনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২৫ ১১:৪২:৫০
সাত মাসে ৫১ হাজার কোটি টাকার বিশাল ঘাটতি

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫১ হাজার কোটি টাকা কম হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা, কিন্তু আদায় হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা।

এনবিআরের সাময়িক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের ধীরগতি এবং সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর কারণে রাজস্ব আহরণ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। মূলত আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং আয়কর—এই তিন প্রধান খাতেই লক্ষ্যমাত্রার ঘাটতি দেখা গেছে।

জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি হয়েছে আয়কর খাতে। এই সময়ে লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৮৮ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা, কিন্তু আদায় হয়েছে মাত্র ৬৪ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। ফলে এই খাতে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা।

আমদানি শুল্ক থেকে সাত মাসে আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৭০ হাজার ৫১২ কোটি টাকা। তবে আদায় হয়েছে ৫৮ হাজার ২১০ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যের তুলনায় ১২ হাজার ৩০২ কোটি টাকা কম। সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি নিরুৎসাহিত করতে নেওয়া পদক্ষেপ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবস্থাপনার কারণে এই ঘাটতি তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভ্যাট খাতেও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে। নির্ধারিত ৮৮ হাজার ৮ কোটি টাকার বিপরীতে এনবিআর সংগ্রহ করেছে ৭৩ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা। ফলে এ খাতে ঘাটতির পরিমাণ ১৪ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা।

প্রথম সাত মাসের ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে পুরো অর্থবছরের রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করা হয়েছে। এনবিআরকে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার নতুন লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে, যা মূল লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার তুলনায় কম।

বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি, ব্যবসায়িক কার্যক্রমের গতি বাড়ানো এবং কর প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি কমানো সম্ভব। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট, মুদ্রাস্ফীতি ও আমদানি হ্রাসের কারণে সামনের মাসগুলোতেও রাজস্ব সংগ্রহের চ্যালেঞ্জ অব্যাহত থাকতে পারে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে