ঢাকা, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১

পাকিস্তানের শেষ ভরসা বাংলাদেশ, জিতলে সেমিফাইনাল

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২৪ ১২:২৩:২২
পাকিস্তানের শেষ ভরসা বাংলাদেশ, জিতলে সেমিফাইনাল

ভারতের কাছে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরবর্তী ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য পরিণত হয়েছে এক রকমের ফাইনালে। রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে জয় পেতে না পারলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই বিদায় নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। বিপরীতে, কিউইদের জন্য ম্যাচটি সেমি-ফাইনালে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ।

বাংলাদেশের জন্য পরিস্থিতি বেশ কঠিন। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে বড় পরাজয় সঙ্গী হয়েছিল। ৩৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দল আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এবার তাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে, যারা পাকিস্তানের কন্ডিশনে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রদর্শন করছে। ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পর তারা প্রস্তুতি ম্যাচেও আফগানিস্তানকে হারিয়েছে এবং টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানকে পাত্তাই দেয়নি।

বাংলাদেশের জন্য একমাত্র আশার আলো রাওয়ালপিন্ডির মাঠে তাদের পূর্বের সাফল্য। গত বছর এই মাঠেই পাকিস্তানকে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। সেই স্মৃতি এবার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে। কোচ ফিল সিমন্সও আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়েছেন, "নিউ জিল্যান্ড দুর্দান্ত খেলছে, তবে প্রতিটি ম্যাচই নতুন দিন, আমরা আমাদের সেরা খেলাটাই খেলতে চাই।"

প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতার পর ব্যাটিং লাইনআপে পরিবর্তন আসতে পারে। ফিট হলে একাদশে ফিরতে পারেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ, যিনি নিজের শেষ চার ম্যাচেই ফিফটি করেছেন। তবে তাকে ফেরানো হলে বাদ পড়বেন কে? তা এখন বড় প্রশ্ন। টপ অর্ডার থেকে কাউকে সরানো হবে নাকি মিডল অর্ডার থেকে মুশফিকুর রহিমকে বাদ দেওয়া হবে, সেটাই দেখার বিষয়।

বোলিংয়েও পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম ম্যাচে একাদশের বাইরে থাকা নাহিদ রানার অন্তর্ভুক্তি প্রায় নিশ্চিত। ছয় মাস আগে এই মাঠেই দুর্দান্ত স্পেলে বিশ্ব ক্রিকেটে আলোড়ন তুলেছিলেন তিনি। তার পেস আক্রমণ দলের জন্য বাড়তি শক্তি যোগাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উইকেটের স্বভাবও বড় ভূমিকা রাখবে ম্যাচে। রাওয়ালপিন্ডিতে সাম্প্রতিক ওয়ানডে সিরিজে রান উৎসব হয়েছিল। নিউ জিল্যান্ডের ৩৩৬ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান অনায়াসে পেরিয়েছিল, আবার ২৮৮ রানের লক্ষ্যও সহজেই তাড়া করেছিল স্বাগতিকরা। এবারও ব্যাটিং-বান্ধব উইকেট হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কোচ সিমন্স তাই দলের কাছে বড় স্কোরের প্রত্যাশা করছেন। তার মতে, তিনশর বেশি রান করাই হবে জয়ের অন্যতম শর্ত।

নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার ম্যাচের আগে বাংলাদেশের প্রতি যথেষ্ট সম্মান দেখিয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি, মাহমুদউল্লাহ এবং মেহেদী হাসান মিরাজের নাম উল্লেখ করে বলেছেন, তাদের ব্যাটিং সামর্থ্যের ব্যাপারে তারা সতর্ক। পাশাপাশি বাংলাদেশের পেস আক্রমণকেও সমীহ করছেন তিনি।

এই ম্যাচে হারলে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যাত্রা কার্যত শেষ হয়ে যাবে, আর জিতলে তারা টিকে থাকবে সেমি-ফাইনালের লড়াইয়ে। অন্যদিকে, নিউ জিল্যান্ড জিতলে সেমি-ফাইনালে তাদের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যাবে। রাওয়ালপিন্ডিতে সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশ কি পারবে কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে?

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে