ঢাকা, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১

কমেছে মাছ-মুরগি-চালের দাম

অর্থনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২১ ১২:২৪:৫৮
কমেছে মাছ-মুরগি-চালের দাম

রাজধানী ঢাকার বাজারগুলোতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাছ, মুরগি ও মোটা চালের দাম কিছুটা কমেছে। তবে, সয়াবিন তেলের সংকট এখনো কাটেনি। পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে গত সপ্তাহে বাজারে চাহিদা বাড়ায় মাছ ও মুরগির দাম বেড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে মাছ ও মুরগির দাম কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। মোটা চালের দামও বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কমেছে।

বাজারে পেঁয়াজ, আলু এবং অন্যান্য সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। অধিকাংশ সবজি ২০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে সয়াবিন তেলের সংকট এখনও অব্যাহত থাকায় ভোক্তাদের কাছে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার, রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজার পরিদর্শন করে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাজারে মুরগির চাহিদা কমে যাওয়ায় ব্রয়লার মুরগির দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে বর্তমানে ১৯০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দাম ২৮০ থেকে ৩১০ টাকায় এবং ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারেও কিছুটা দাম কমেছে। পাঙ্গাশ মাছ আকারভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, বড় তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকায় এবং রুই মাছ ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, এবং তিন থেকে চার কেজি ওজনের রুই ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ছোট মাছের মধ্যে, চাষ করা কৈ মাস প্রতি কেজি ২২০ টাকা, ট্যাংরা মাছ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, এবং বড় গুলশা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরা বাজারের ব্যবসায়ী মো. বায়োজিদ বলেন, "বাজারে মুরগির চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়ায় দাম কমেছে। রমজান মাসে মুরগির দাম বাড়ার শঙ্কা কম।" জোয়ারসাহারা বাজারের মাছ বিক্রেতা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, "এক সপ্তাহ ধরে আড়তে মাছের দাম কিছুটা কমেছে, যা আমরা কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমিয়ে বিক্রি করতে পারছি।"

চালের বাজারেও কিছুটা স্বস্তি এসেছে। মোটা চাল ব্রি-২৮, পাইজাম ও স্বর্ণা চালের দাম বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কমেছে। তবে চিকন চাল (মিনিকেট) আগের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ ও আলুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, দেশি নতুন রসুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২২০ থেকে ২৩৫ টাকা, আলু ২০ টাকা, দেশি আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা এবং খোলা চিনি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জোয়ারসাহারা বাজারের বিক্রেতা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, "এবার রোজা উপলক্ষে নতুন করে কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি, বরং ছোলার দাম পাইকারিতে কিছুটা কমেছে। সয়াবিন তেল ছাড়া বাজারে অন্যান্য পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।"

সবজি বাজারেও স্বস্তি বজায় রয়েছে। শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে এবং বেশিরভাগ সবজি ২০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। শিম মানভেদে ৩০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পাকা টমেটো ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লম্বা লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং মুলা ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সামগ্রিকভাবে, রাজধানীর বাজারে কিছু পণ্যের দাম কমলেও সয়াবিন তেলের সংকট এবং চিকন চালের দাম আগের মতোই রয়ে গেছে, যা ভোক্তাদের জন্য কিছুটা চাপের সৃষ্টি করছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে