ঢাকা, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১

মাহমুদুল্লাহ ও নাহিদ রানাকে একাদশে না রাখার কারণ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২০ ২২:৪৫:৪৪
মাহমুদুল্লাহ ও নাহিদ রানাকে একাদশে না রাখার কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশ দেখে বিস্মিত হয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। দলে নেই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও তরুণ গতিতারকা নাহিদ রানা, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক, ক্ষোভ ও হতাশা। ম্যাচের শুরুতেই পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ পাঁচ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লে অনেকেই বলছেন, মাহমুদুল্লাহ থাকলে পরিস্থিতি কিছুটা সামলানো যেত।

মাহমুদুল্লাহর না থাকার কারণ

সবশেষ বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন। ওই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৯৬ বলে ৭৭ রান করে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি। ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে তার অভিজ্ঞতা ও পারফরম্যান্স বিবেচনায় তিনি একাদশে থাকবেন বলে সবাই ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য দুবাইয়ে এসে প্রথম অনুশীলনেই তার ডান পায়ের মাংসপেশিতে টান পড়ে। এখনও পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নাহিদ রানার একাদশে না থাকা নিয়ে প্রশ্ন

আরেকটি বড় চমক ছিল নাহিদ রানার না থাকা। বিশেষ করে ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় সাংবাদিকদের বেশিরভাগ প্রশ্নই ছিল নাহিদ রানাকে ঘিরে। তার অতিমানবীয় গতি ও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স তাকে একাদশে রাখার পক্ষে কথা বলছিল। কিন্তু বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, টিম কম্বিনেশনের কারণে তাকে বাইরে রাখা হয়েছে।

বিপিএলে টানা অনেকগুলো ম্যাচ খেলার কারণে নাহিদের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়েছিল, যা তার গতি ও কার্যকারিতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। তাই ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবে তাকে প্রথম ম্যাচে বিশ্রামে রাখা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ চার পেসার নিয়ে খেলতে পারতো কিনা, এবং সেক্ষেত্রে নাহিদ রানার থাকা উচিত ছিল কিনা—এ নিয়ে আলোচনা চলছে।

ভবিষ্যতে একাদশে ফেরার সম্ভাবনা

বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্স ও দলের ব্যাটিং বিপর্যয় বিবেচনায় ভবিষ্যতে মাহমুদুল্লাহ ও নাহিদ রানাকে একাদশে ফেরানোর দাবিও জোরালো হবে। মাহমুদুল্লাহ যদি চোটমুক্ত হন, তবে তিনি একাদশে ফিরতে পারেন। অন্যদিকে, নাহিদ রানার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত টিম ম্যানেজমেন্টের কৌশলের উপর নির্ভর করবে।

বাংলাদেশের একাদশ নিয়ে বিতর্ক চলবে, তবে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে দল কেমন পারফর্ম করে, সেটিই নির্ধারণ করবে এই সিদ্ধান্তগুলো সঠিক ছিল কিনা।

ফাহিম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে