দুবাইয়ের পিচ: স্লো নাকি ব্যাটিংবান্ধব

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, যেখানে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছিল অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ, আইএল টি-২০ এবং এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, পিচের অবস্থা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে এতগুলো বড় টুর্নামেন্টের পর মাঠের অবস্থান ঠিক থাকবে কিনা, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে ক্রিকেট মহলে। তবে, মাঠটির প্রধান কিউরেটর, অস্ট্রেলিয়ান ম্যাথু স্যান্ডেরি আশ্বাস দিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য সেরা ওয়ানডে পিচ প্রস্তুত করা হবে।
দুবাইয়ের পিচ তৈরি করার জন্য দুই সপ্তাহ সময় পেয়েছেন মাঠকর্মীরা, এবং পিটিআই সূত্রে জানা গেছে যে, স্টেডিয়ামে ১০টি উইকেট রয়েছে, যার মধ্যে দুটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। এই দুই উইকেটেই ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড এবং অন্যান্য দলগুলো। আজ বিকাল ৩টায় ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে মাঠে নামবে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তার দল।
এতগুলো টুর্নামেন্টের কারণে পিচের অবস্থা স্লো হতে পারে, কিন্তু দুবাইয়ের মাঠটি সাধারণত একটু স্লো হলেও অব্যবহৃত থাকার পর এবং আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট উপলক্ষে রান আরও বেশি উঠতে পারে। স্যান্ডেরি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছিলেন, "পিচের জন্য কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা ছিল না। তবে দুবাইয়ের আবহাওয়া এবং অন্যান্য বিষয় মাথায় রেখে আমরা সেরা পিচ তৈরি করেছি। আমরা উচ্ছ্বসিত যে, এখানে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলগুলো খেলবে।"
পিচের কন্ডিশন কেমন হবে, স্লো নাকি ব্যাটিংবান্ধব? এই প্রশ্নে স্যান্ডেরি ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে বলেন, "চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচগুলোর জন্য যে উইকেটগুলো তৈরি হয়েছে, আইএল টি-২০ এর শেষ ম্যাচের পর সেগুলোর অবস্থার উন্নতি হয়েছে। দুবাইয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্য সেরা পিচ এবং কন্ডিশন তৈরি করার চেষ্টা করেছি, এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে, এই পিচ সারা বিশ্বের ওয়ানডে ক্রিকেটের চাহিদা পূরণ করবে।"
দুবাইয়ের এই মাঠে সবশেষ ওয়ানডে ম্যাচটি ২০২৪ সালের মার্চে হয়েছিল, যেখানে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিল কানাডা। এখন পর্যন্ত এখানে ৫০ ওভারের ৫৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, তবে কোনো দলই চারবারের বেশি ৩০০ রান করতে পারেনি। এর মানে হলো, শুরুতে ব্যাটিং করা দল বোলারদের চাপে পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে টসও একটি বড় ফ্যাক্টর হতে পারে।
ভারতের বিপক্ষে শান্ত ব্রিগেডের বোলিং লাইনআপও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে, কারণ তাদের দীর্ঘ বোলিং আক্রমণ ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। অন্যদিকে, ভারতের স্পিনাররা টাইগার ব্যাটিং লাইনআপকে কাবু করতে সক্ষম হতে পারে। অতএব, দুবাইয়ের উইকেটে রান প্রাপ্তির পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে।
মোটের ওপর, দুবাইয়ের পিচ হয়তো ব্যাটিংবান্ধব না হয়ে স্লো এবং চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, যা ম্যাচের উত্তেজনা আরও বাড়াবে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: ৪৮ ওভারে ৩৯৬ রান করলো বাংলাদেশ
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ
- নাহিদ মিরাজের বোলিং তোপে পাকিস্তান, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচ সম্পূর্ণ ফ্রীতে লাইভ দেখবেন যে ভাবে
- বাংলাদেশের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিং, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ ওভার শেষ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- ৩১ ওভারের খেলা শেষ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- বোলিংয়ে বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- মেকশিফট ওপেনার নিয়ে ভারতের বিপক্ষে একাদশ সাজালো বাংলাদেশ
- পাকিস্তানকে মাঝাড়ি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
- নতুন নির্দেশনা জারি করলো সৌদি আরব
- অলআউটের পথে বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- ৩ উইকেট হারালো বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- নাহিদ মিরাজের পর তানজিম সাকিবের আঘাত