ঢাকা, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১

বিসিবির সমালোচনায় তামিম

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯ ০০:৫৫:২৭
বিসিবির সমালোচনায় তামিম

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কি ক্রীড়াবিদদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের বিষয়ে কোনো ভূমিকা রাখতে পারত? এই প্রশ্ন ঘিরেই নতুন বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল মনে করেন, যদি বোর্ড যথাযথ সিদ্ধান্ত নিত, তাহলে বর্তমান ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া নিয়ে এত বিতর্ক সৃষ্টি হতো না।

সাম্প্রতিক এক আলোচনায় তামিম বলেন, "ক্রিকেট বোর্ড আমাদের পরিবারের মতো। অনেক সময় আমাদের পরিবারও বলে দেয়, কোনটা করা উচিত আর কোনটা করা উচিত নয়। ঠিক তেমনি, বোর্ডও ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে যাওয়া উচিত কি না, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিতে পারত।"

তামিমের এই বক্তব্য ক্রিকেট মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বিসিবি যদি সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মুর্তজার রাজনীতিতে যোগদানের বিষয়ে আগেভাগেই কোনো নীতি নির্ধারণ করত, তাহলে হয়তো এ নিয়ে এত সমালোচনা হতো না। ক্রিকেটারদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে ব্যাপক আলোচনা।

এর আগে মাশরাফি বিন মুর্তজা আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং বর্তমানে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত রয়েছেন। অপরদিকে, সাকিব আল হাসান ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে প্রার্থী হন, যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অনেকেই মনে করেন, বর্তমান বা সাবেক ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ তাদের মূল পেশা, অর্থাৎ ক্রিকেটে প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, বিসিবি যদি আগে থেকেই ক্রিকেটারদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করত, তাহলে অনেক বিতর্ক এড়ানো সম্ভব হতো। ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব শুধু খেলার উন্নয়ন নয়, বরং ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ নিয়েও সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া।

তবে বিসিবির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিরা বরাবরই বলে আসছেন যে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে তারা হস্তক্ষেপ করতে চান না।

তামিমের মন্তব্যের পর এখন দেখার বিষয়, বিসিবি ভবিষ্যতে এ ধরনের বিতর্ক এড়াতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে কি না।

মো: রাজিব আলি/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে