ঢাকা, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১

২০২৫ সালের খসড়া অনুমোদন:

বাংলাদেশে সরকারি চাকরি বিধিমালায় বড় পরিবর্তন

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৮ ১৭:৪৪:১৩
বাংলাদেশে সরকারি চাকরি বিধিমালায় বড় পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে সরকারি চাকরি ব্যবস্থায় নতুন একটি অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে। ২০২৫ সালের সরকারি চাকরি বিধিমালার খসড়া সম্প্রতি চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা দেশের সরকারি চাকরি প্রক্রিয়াকে আরো সমন্বিত, সহজ এবং স্বচ্ছ করে তুলবে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে এই খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো:

প্রার্থীদের জন্য সুবিধাজনক ও সহায়ক পদ্ধতি: নতুন বিধিমালায় প্রার্থীদের জন্য আরো সহায়ক এবং সুবিধাজনক একটি প্রক্রিয়া তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে তারা চাকরির আবেদন ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার যেকোনো ধাপে হয়রানির শিকার হবেন না। এতে প্রার্থীদের জন্য একটি সুষ্ঠু এবং বাধাহীন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা হবে।

বৈষম্য নিরসন ও স্বচ্ছ নিয়োগ পদ্ধতি: বিধিমালার প্রধান লক্ষ্য হলো, সরকারি চাকরিতে বৈষম্য দূর করা এবং একটি স্বচ্ছ, ন্যায্য নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করা। এতে সমস্ত প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি হবে এবং প্রতিযোগিতা আরও সুষ্ঠু হবে।

"অনুপযুক্ত" প্রার্থী ঘোষণার প্রক্রিয়া: খসড়া বিধিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোন পরিস্থিতিতে একজন প্রার্থীকে "অনুপযুক্ত" ঘোষণা করা যেতে পারে। এমন ঘোষণা পেলে প্রার্থীকে তার সিদ্ধান্ত জানানো হবে এবং পুনর্বিবেচনার সুযোগ প্রদান করা হবে। প্রয়োজনে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ প্রার্থীর সম্পর্কে পুনঃতদন্ত করার অধিকারও পাবে।

বিসিএস এবং সকল সরকারি চাকরি: নতুন বিধিমালা দেশের সকল শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং বিসিএসসহ সমস্ত সরকারি চাকরির জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যকর হবে। এটি ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের অধীনে প্রণীত হয়েছে।

নন-ক্যাডার বিধিমালার সংশোধন: পিএসসি নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছে ২০২৩ সালের নন-ক্যাডার বিধিমালায় সংশোধন আনার ব্যাপারে, এবং এটি পরবর্তী সভায় চূড়ান্তভাবে গৃহীত হবে।

রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পরীক্ষা: নতুন বিধিমালার আওতায় রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের পরীক্ষা হবে তিনটি ধাপে:

প্রিলিমিনারি পরীক্ষা

লিখিত পরীক্ষা

মৌখিক পরীক্ষা

এই বিধিমালার মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি চাকরি প্রক্রিয়াকে আরও আধুনিক, সহজ, এবং প্রার্থীদের জন্য সুবিধাজনক করে তোলা, যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সুষ্ঠু এবং ন্যায্য হয়। এটি সরকারি চাকরির প্রতি আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য আরো সম্ভাবনা এবং সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে।

রাজিব/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে