ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১

কারাগারে থেকেও বিয়ের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বললেন হাসানুল হক ইনু

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৭ ১৪:৫১:১০
কারাগারে থেকেও বিয়ের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বললেন হাসানুল হক ইনু

নিজস্ব প্রতিবেদক: জীবন থেমে থাকে না, এমনটাই যেন প্রমাণ করলেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। কারাগারে থেকেও তিনি পরিবারের আনন্দ ম্লান হতে দেননি। আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী হত্যার মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলেও, ইনুর মন পড়ে ছিল ভাতিজির বিয়ের অনুষ্ঠানে।

সোমবার (৫ আগস্ট) কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয় ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে। মিরপুর মডেল থানার মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারীর মৃত্যু হয়। নিহতের বাবা আল আমিন পাটোয়ারী এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন।

আদালতে হাজির হয়ে হাসানুল হক ইনু তার আইনজীবীর মাধ্যমে পরিবারের উদ্দেশ্যে বার্তা পাঠান, যাতে তার অনুপস্থিতিতে বিয়ের আয়োজন ব্যাহত না হয়। তিনি বলেন, “জীবন চলবে তার নিজের গতিতে। আমি কারাগারে থাকলেও, আনন্দ যেন থেমে না যায়। তাদের বলো, বিয়েটা যেন যথাসময়ে হয়ে যায়।” তার আইনজীবী জানান, ইনুর ভাতিজির বিয়ের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, এবং তিনি চান সেটি যেন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।

ইনুর আইনজীবী আদালতে সাফাই দিয়ে বলেন, “ইনু এই আন্দোলনের সময় এমপি ছিলেন না, বরং তিনি আন্দোলনকে যৌক্তিক মনে করেছিলেন।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইনু শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, একসময় দেশের স্বনামধন্য ফুটবলার ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন। তবে বিচারক উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অন্যদিকে, রাশেদ খান মেনন সংক্ষেপে বলেন, “আমি আর কী বলব।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উত্তাল সময় ৫ আগস্ট ২০২৪, মিরপুর গোল চত্বরে ঘটে যায় এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী। তার বাবা আল আমিন পাটোয়ারী বিচার চাইতে আদালতের শরণাপন্ন হন। তদন্তের ধারাবাহিকতায় ইনু ও মেননকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, তদন্ত এখনো চলমান, এবং রিমান্ড শেষে নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে।

জামাল/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে