ঢাকা, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

ওবায়দুল কাদেরের আত্মীয় বিএনপিতে

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৫ ১৯:১৮:০৩
ওবায়দুল কাদেরের আত্মীয় বিএনপিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ওবায়দুল কাদের-এর পরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি আবদুস সাত্তার, যিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন, সম্প্রতি বিএনপি-তে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। সাত্তার দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং তার বেশ কিছু সংযুক্তি ছিল দলের শক্তিশালী নেতাদের সাথে, এমনকি কাদের মির্জা-এর হেলমেট বাহিনীসহ একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল।

সাত্তারের বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ এবং জেলা বিএনপির সদ্য নির্বাচিত সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ আজাদ-এর সঙ্গে সম্পর্কের সূত্রে ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মধ্যে তীব্র অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, এবং একাধিক নেতা-কর্মী এই বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে একজন নেতা, যিনি ক্ষমতাসীন দলে ছিলেন, এখন দল পরিবর্তন করছেন?

তবে, আবদুস সাত্তার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিপরীতে পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আওয়ামী লীগে থাকা কিংবা বিএনপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত তার একান্ত ব্যক্তিগত ছিল। তিনি দাবি করেছেন যে, তিনি ছাত্রদল থেকে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং তার রাজনৈতিক অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অবাস্তব প্রচেষ্টা।

এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার জানান, সাত্তারকে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে কিছু নেতাদের ভূমিকা ছিল, তবে তার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও জানান, সাত্তারকে একাধিক মিটিং থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল এবং এমনকি তাকে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তবে সাত্তারের প্রভাব এবং উপস্থিতির কারণে কিছু নেতাকর্মী অস্বস্তিতে পড়েছেন এবং তাদের মধ্যে অসন্তোষের জন্ম হয়েছে।

বিএনপির সদ্য ঘোষিত জেলা সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ আজাদ এবং অন্যান্য নেতাদের মন্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি, তবে বিএনপির ভেতরে এই ঘটনার ফলে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ এই প্রসঙ্গে বলেন, সাত্তার যদি বিএনপিতে যোগ দিতে চান, তবে প্রথমে তাদের মধ্যে সুরাহা হওয়া উচিত ছিল। তিনি উল্লেখ করেন, সাত্তার তার সঙ্গে একটি ওয়াজ মাহফিলের দাওয়াত নিয়ে ঢাকায় এসে ছবি তুলেছিলেন, তবে সেই ছবি নিয়েই বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তিনি আরও বলেন, যদি তৃণমূল নেতাদের মনোভাব এবং এলাকায় সাত্তারের উপস্থিতি আগেই সঠিকভাবে সমাধান করা হতো, তবে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।

এই ঘটনায় এখন কোম্পানীগঞ্জ রাজনীতি নতুন করে আলোচনায় এসেছে, এবং সাত্তারকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া উঠেছে। বিএনপির ভেতরে এবং বাইরে এই বিষয়টি নিয়ে আরও নাটকীয় ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এম/এইচ/এ

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে