ঢাকা, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১

বিপিএল মাতিয়ে জাতীয় দলের শর্ট লিস্টে একাধিক ক্রিকেটার

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৯ ১৬:৩২:০৮
বিপিএল মাতিয়ে জাতীয় দলের শর্ট লিস্টে একাধিক ক্রিকেটার

২০২৫ সালের বিপিএল ছিল দেশের ক্রিকেটের জন্য এক উল্লেখযোগ্য মোড়। এবারের টুর্নামেন্টে শুধু দলের পারফরমেন্স নয়, স্থানীয় ক্রিকেটারদের ব্যাটিং-বোলিংয়ের চমকপ্রদ পারফরমেন্সও ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। এমনকি তরুণ ক্রিকেটারদের দাপট দেখে অনেকেই আশাবাদী যে, জাতীয় দলের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছেন নতুন কিছু মুখ। ফাইনালে ফরচুন বরিশালের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে বিপিএল শেষ হলেও, মাঠের বাইরের বিতর্কের চেয়েও ক্রিকেটারদের অসাধারণ পারফরমেন্সই ছিল মূল আলোচ্য।

এবারের বিপিএল ছিল গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি উত্তেজনাপূর্ণ। দেশে ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স ছিল নজরকাড়া। সেরা রান সংগ্রাহকদের শীর্ষ পাঁচের মধ্যে চারজনই ছিলেন দেশীয় ব্যাটার, যার মধ্যে তরুণ ক্রিকেটাররা ছিলেন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এর পাশাপাশি, ছক্কার দিক থেকেও বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার নিজেদের মেধার প্রমাণ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে আলোচিত নাম ছিল সাব্বির রহমান, যিনি তার ফর্মে ফিরে এসেছেন এবং জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি করেছেন।

ঢাকা ক্যাপিটালস দলের ব্যর্থতা সত্ত্বেও, সাব্বির রহমান ছিলেন একেবারে আলাদা। তিনি ৯ ইনিংসে প্রায় ৩৫ গড়ে এবং ১০৭ স্ট্রাইক রেটে ১৮৯ রান করেছেন, যার মধ্যে ১৮ টি ছক্কা ছিল। তার এই পারফরমেন্স আবারো জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে।

তবে এবারের বিপিএল সিজনের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার ছিলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। খুলনার উইকেট কিপার ব্যাটার ১২ ইনিংসে ৩১৬ রান করেছেন, এবং তার হিটিং এবিলিটি ছিল বিস্ময়কর। প্রায় ১৭৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করার পাশাপাশি, তিনি ডেথ ওভারে অত্যন্ত দ্রুত রান তোলার সামর্থ্য দেখিয়েছেন। এমনকি তিনি বিপিএল ইতিহাসে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে ডেথ ওভারে ২০০ এর বেশি রান করেছেন। তার এই পারফরমেন্স তাকে জাতীয় স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা এনে দিয়েছে।

আলিস আল ইসলাম, চিটাগাং কিংসকে ফাইনালে পৌঁছে দেওয়ার নায়ক, তার অবিশ্বাস্য ইকোনমিক্যাল বোলিং এবং ১৫ উইকেট নিয়ে আলোচনায় এসেছেন। তার সুনির্দিষ্ট বোলিং এবং প্রয়োজনে ব্যাট হাতে ছোটখাটো কন্ট্রিবিউশন তাকে জাতীয় দলের জন্য অন্যতম সম্ভাব্য সদস্য করে তুলেছে।

এছাড়া, জাকির হাসানও এবারের বিপিএলে চমকপ্রদ পারফরমেন্স দেখিয়েছেন। তিনি ১২ ইনিংসে ১৪০ স্ট্রাইক রেটে ৩৮৯ রান করেছেন এবং সিলেট স্ট্রাইকারদের দুটি ম্যাচে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কারও পেয়েছেন। তার দারুণ পারফরমেন্স তাকে জাতীয় দলে জায়গা পেতে সাহায্য করতে পারে।

অন্যদিকে, অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মধ্যে আবু হায়দার রনি, ইয়াসির আলী চৌধুরী, রাব্বি, আনামুল হক বিজয়সহ আরও কিছু খেলোয়াড় এবারের বিপিএলে নিজেদের নতুন করে পরিচিত করেছেন। তাদের পারফরমেন্সও জাতীয় দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

এবং তাই, বিপিএল ২০২৫ ছিল দেশের ক্রিকেটের জন্য এক নতুন দিগন্তের সূচনা, যেখানে তরুণদের পারফরমেন্স ভবিষ্যতের জন্য দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে