ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম, দোয়া ও ২০২৫ সালের গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক তারিখ

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৭ ১০:৪৫:১০
শবে বরাতের নামাজের নিয়ম, দোয়া ও ২০২৫ সালের গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক তারিখ

শবে বরাত ২০২৫ সালে পালিত হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার। এটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রজনী, যা ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘নিষ্কৃতি ও মুক্তির রজনী’ নামে পরিচিত। এই রাতে মহান আল্লাহ অসংখ্য বান্দাকে ক্ষমা ও আশীর্বাদ প্রদান করেন বলে বিশ্বাস করা হয়।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

অনেকেই জানতে চান, শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত এবং কীভাবে পড়তে হবে। এই রাতে যে নামাজ পড়া হয় তা নফল নামাজ। মহানবী (সা.) এই রাতে বিশেষ কোনো ভিন্ন নামাজের পদ্ধতি অবলম্বন করেননি। তাই সাধারণ নফল নামাজের মতোই দুই রাকাত করে নামাজ পড়া যেতে পারে।

মাগরিব নামাজের পর: হায়াতের বরকত, ঈমানের হেফাজত এবং অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য ৬ রাকাত নফল নামাজ পড়া উত্তম।

এশার নামাজের পর: সারারাত দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়া যেতে পারে।

কাজা নামাজ আদায়ের সুযোগ: জীবনে যে ফরজ নামাজগুলো কাজা হয়েছে, সেগুলো এই রাতে আদায় করা যায়।

সালাতুল তাসবীহ: এটি একটি বিশেষ নামাজ, যা পড়লে অনেক সওয়াব লাভ হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, নামাজ হলো সর্বোত্তম ইবাদত।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ত

নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআ-লা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

বাংলায়: ‘শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ/ সালাত কিবলামুখী হয়ে পড়ছি, আল্লাহু আকবার।’

লাইলাতুল বারাতের ফজিলত

হজরত মুয়ায ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“আল্লাহ তাআ’লা অর্ধ-শাবানের রাতে (শাবান মাসের ১৪ তারিখের রাত) রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন।”

বিশেষ দোয়া

রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব ও শাবান মাসে একটি বিশেষ দোয়া বেশি বেশি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দোয়াটি হলো:

اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ

(অর্থ) ‘হে আল্লাহ, আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’

২০২৫ সালের গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক তারিখসমূহ

শবে বরাত, রমজান, শবে কদর, ঈদ ও হজের সম্ভাব্য তারিখ:

শবে বরাত: ১৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার।

বিশ্ব ইজতেমা: ৩১ জানুয়ারি - ২ ফেব্রুয়ারি ও ৭-৯ ফেব্রুয়ারি।

রমজান: ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৯ মার্চ শেষ হতে পারে (চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল)।

জুমাতুল বিদা: ২৮ মার্চ, শুক্রবার।

শবে কদর: ২৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার।

ঈদুল ফিতর: ৩০ বা ৩১ মার্চ (চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল)।

ঈদুল আজহা: ৭ জুন, শনিবার (চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল)।

হজ: ৫ জুন থেকে শুরু হতে পারে (চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল)।

আশুরা: ৬ জুলাই, রবিবার।

ঈদে মিলাদুন্নবী: ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার।

গুরুত্বপূর্ণ নোট:

রমজান, ঈদ, হজ, শবে বরাত, শবে কদর, শবে মেরাজ, আশুরার দিনগুলো মূলত চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। আরবি ক্যালেন্ডারের মাসগুলোর তারিখ চাঁদ দেখার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়, তাই উল্লেখিত তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

শবে বরাতের পবিত্র রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন এবং রহমত প্রদান করুন। আমিন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে