ফুটবলকে বিদায় বললেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার

বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন ব্রাজিল ও রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি লেফট ব্যাক মার্সেলো ভিয়েরা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের ইতি টেনে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে অবসরের ঘোষণা দেন ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা।
রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে অন্যতম সফল খেলোয়াড়দের একজন মার্সেলো। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রবার্তো কার্লোসের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে ২০০৭ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন তিনি। এরপর ক্লাবটির লেফট ব্যাক পজিশনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে গড়ে তোলেন দুর্দান্ত এক জুটি। রিয়ালের অফহোয়াইট জার্সি গায়ে সাড়ে পনেরো বছরের ক্যারিয়ারে পাঁচটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ছয়টি লা লিগা শিরোপাসহ মোট ২৫টি ট্রফি জেতেন তিনি।
রিয়ালের ইতিহাসের সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী খেলোয়াড় হিসেবে বার্নাব্যু ছাড়লেও পরবর্তীতে তাকে ছাড়িয়ে গেছেন নাচো, লুকা মদ্রিচ ও দানি কার্ভাহাল। তবুও ক্লাবটির সর্বকালের সেরাদের তালিকায় তার নাম থাকবে চিরদিন।
অবসরের ঘোষণা দিয়ে ইনস্টাগ্রামে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি ভিডিও পোস্ট করেন মার্সেলো। সেখানে তিনি বলেন,"খেলোয়াড় হিসেবে আমার গল্পটা এখানেই শেষ, কিন্তু ফুটবলকে দেওয়ার মতো এখনও অনেক কিছু আছে।"
২০২২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়েন মার্সেলো। এরপর যোগ দেন গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসে, তবে সেখানে বেশিদিন থাকেননি। দ্রুতই ফিরে যান নিজের শৈশবের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে, যেখানে ২০২৩ সালে কোপা লিবের্তাদোরেসের শিরোপা জয় করেন।
২০২৪ সালের নভেম্বরে গ্রেমিওর বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালে ফ্লুমিনেন্সের কোচ মানো মেনেজেসের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন মার্সেলো। সেই ঘটনার পর ক্লাব ছাড়েন এবং এরপর থেকে আর কোনো দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হননি।
জাতীয় দলের হয়ে ৫৮টি ম্যাচ খেলে ৬ গোল করেছেন মার্সেলো। ব্রাজিলের জার্সিতে কোনো বড় শিরোপা জিততে না পারলেও ২০১৩ সালে ঘরের মাঠে কনফেডারেশনস কাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়া ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিক এবং ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক-এ ব্রাজিলের হয়ে যথাক্রমে ব্রোঞ্জ ও রুপার পদক জেতেন।
মার্সেলোর ফুটবল ক্যারিয়ার শুধুই শিরোপা আর অর্জনের গল্প নয়, এটি এক যুগান্তকারী ফুটবলারের ইতিহাস। মাঠে তার দৃষ্টিনন্দন ড্রিবলিং, নিখুঁত পাসিং, আর আক্রমণাত্মক ফুটবল তাকে রিয়াল ও ব্রাজিলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা লেফট ব্যাকে পরিণত করেছে। অবসরের ঘোষণার পর ভক্তরা তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মরণ করছে সেই সোনালি দিনের কথা, যখন রিয়ালের বাঁ প্রান্তে বল পায়ে দাপিয়ে বেড়াতেন মার্সেলো।
ফুটবল থেকে বিদায় নিলেও হয়তো নতুন কোনো ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। কিন্তু তার অবদান ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে অমলিন থাকবে চিরকাল।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অলস টাকা আর নয়! শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুখবর দিল বিএসইসি
- পুঁজিবাজার সংকটে সরকার নিচ্ছে দ্রুত পদক্ষেপ: ৪ মূল সমস্যা চিহ্নিত
- গাজার মতো হামলার হুমকি বাংলাদেশকে! মুখ খুললো ভারতীয় মিডিয়া
- চীনের সহায়তায় পাঁচ জেলায় স্বাস্থ্য বিপ্লব: আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- শেয়ারবাজারে বড় পরিবর্তনের আভাস! বৈঠকে বসছে সরকার ও শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠান
- পুঁজিবাজার সংকটে সরকারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট, ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে বিনিয়োগকারীরা
- শেখ হাসিনার ৮ মিনিটের ভিডিও বার্তা: ইতিহাস, শিল্প ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
- আগামী দিনে বিশ্ব ক্রিকেটে দাপট দেখাবে যে পাঁচ ক্রিকেটার
- এক ছক্কার ভুলেই বিশ্বকাপ হাতছাড়া, বাংলাদেশ লিখল ইতিহাস
- বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় খবর: ৩০ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ ও স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা
- রিয়াল মাদ্রিদ বনাম আর্সেনাল কোয়ার্টার ফাইনাল স্কোর আপডেট
- Real Madrid vs. Arsenal: একাদশ, পরিসংখ্যান ও ম্যাচ প্রেডিকশন
- বরবাদ, দাগীসহ ঈদের ৭ সিনেমার আয়: ১৭ দিনে মোট কত কোটি টাকা সংগ্রহ?