ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১

কাজা নামাজের নিয়ত ও আদায়ের নিয়মাবলী

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৬ ১৮:২৮:০১
কাজা নামাজের নিয়ত ও আদায়ের নিয়মাবলী

যখন কোনো ফরজ বা ওয়াজিব নামাজ সময়মতো আদায় করা সম্ভব না হয়, তখন সেটি কাজা হয়ে যায়। ঘুম, ভুলে যাওয়া, অথবা অন্য কোনো অসুবিধার কারণে নামাজ আদায় করতে না পারলে পরবর্তীতে সেই নামাজের কাজা করতে হয়। ইসলামে কাজা নামাজের বিধানটি অত্যন্ত স্পষ্ট, এবং আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

"لَيْسَ فِي النَّوْمِ تَفْرِيطٌ إِنَّمَا التَّفْرِيطُ فِي الْيَقَظَةِ. فَإِذَا نَسِيَ أَحَدُكُمْ صَلَاةً أَوْ نَامَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ: وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لذكري"

অর্থাৎ, ঘুমের কারণে নামাজ বাদ পড়লে তা গুনাহের বিষয় নয়। তবে জেগে থেকেও যদি নামাজ না পড়া হয়, তখনই তা শাস্তির যোগ্য। আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন, "যত দ্রুত সম্ভব যখনই তোমরা নামাজের কথা স্মরণ করবে, তা আদায় করো।" (সূরা ত্বহা: ১৪)

কাজা নামাজের জন্য নিয়তও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নামাজের আগে, আপনি যে নামাজটি আদায় করবেন, তা কত রাকাত হবে এবং কিসের কাজা—এটা আপনার মনে ঠিক করে নেওয়া আবশ্যক। মুখে বলার কোনো প্রয়োজন নেই, এবং নির্দিষ্ট কোন বাক্যও নেই।

যেহেতু কাজা নামাজের নিয়ম অন্য ফরজ নামাজের মতোই, তাই আপনি কোন দিনের কোন ওয়াক্তের নামাজ কাজা করছেন, সেটা মনে মনে স্থির করে "আল্লাহু আকবর" বলে নামাজ শুরু করতে হবে। মুখে কিছু বলার দরকার নেই।

যদি কারো কাছে অনেক কাজা নামাজ থাকে এবং সেগুলোর তারিখ বা সময় মনে না থাকে, তবে তিনি এইভাবে নিয়ত করবেন: "আজ আমি আমার সব কাজা নামাজের মধ্যে থেকে যে ওয়াক্তের নামাজ, সেটি আদায় করছি।" এইভাবে, তিনি একে একে প্রতিটি ওয়াক্তের কাজা নামাজ আদায় করবেন, যতদিন না তার মন থেকে এটি নিশ্চিত হয় যে, এখন তার ওপর আর কোনো কাজা নামাজ বাকি নেই।

এভাবে নিয়ত এবং মনোযোগ দিয়ে কাজা নামাজ আদায় করতে থাকলে, আল্লাহর রহমতে সব কাজা নামাজ পূর্ণ হতে থাকবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে