ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১

যাদের রাতে ঘুম হয় না তাদের জন্য করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৪ ২০:০৮:২০
যাদের রাতে ঘুম হয় না তাদের জন্য করণীয়

সকালের প্রথম আলো আসার আগেই ঘুম থেকে ওঠার জন্য কিছু প্রাকৃতিক এবং প্রযুক্তি নির্ভর অভ্যাসের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। আজকাল বেশিরভাগ মানুষই ঘুমানোর আগে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পছন্দ করেন, কিন্তু এটি ঘুমের গুণগত মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ঘুমের আগে ফোন, ট্যাবলেট, এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার কমানোর মাধ্যমে এমন কিছু অভ্যাস তৈরি করা সম্ভব, যা ভালো ঘুমে সাহায্য করে এবং সকালে তাজা মনে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তোলে।

ঘুমানোর আগে স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধ করার চেষ্টা করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, স্ক্রিনে নীল আলো ব্রেইনকে একটানা সচেতন রাখতে পারে, যার ফলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অদৃশ্য চাপও চিন্তা উস্কে দেয় এবং তা ঘুমের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা অন্যান্য ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করা ঘুমের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।

অ্যালার্ম সেট করা অবশ্যই একটি কার্যকরী অভ্যাস, তবে এটি যদি বিছানার কাছাকাছি থাকে, তা হলে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পরও পুনরায় ঘুমিয়ে পড়া যায়। সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে অ্যালার্ম সেট করে, তবে এটি বিছানা থেকে কিছুটা দূরে রাখতে হবে। অ্যালার্ম বাজানো হলে, বিছানা থেকে উঠে তা বন্ধ করার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিৎ, এতে ঘুম ভাঙার পর আর ফিরে ঘুমানো কঠিন হবে।

ঘুমানোর আগে কিছু বই পড়া ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক হতে পারে। স্ক্রীন-ভিত্তিক পিডিএফ বা ই-বুক পড়ার পরিবর্তে কাগজের বইয়ের পাতা উল্টানো বেশি কার্যকর। বই পড়ার অভ্যাস ঘুমের মান উন্নত করে এবং এটি মস্তিষ্ককে শিথিল করতে সাহায্য করে, ফলে আপনি দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে পারেন।

কিছু পানীয় ঘুমের গুণগত মানের জন্য সহায়ক হতে পারে। ক্যামোমাইল চা যেমন মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে এবং শারীরিক প্রশান্তি এনে দেয়, তেমনি রোজ টি, জিরা ও জোয়ান পানি অথবা হালকা কাশ্মীরি কাহওয়া পান করাও ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক। তবে দিনের শুরুতে ক্যামোমাইল চা পান করা বেশি কার্যকর।

ঘুমের ৬ ঘণ্টা আগে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় যেমন কফি, চা বা সোডা পান করা, এবং ঘুমের আগে অ্যালকোহল পান করা ঘুমের মানে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এই দুটি উপাদান মস্তিষ্ককে অতিরিক্ত উদ্দীপ্ত করে, যার ফলে গভীর ঘুমের অভাব হতে পারে।

এসব অভ্যাসের মাধ্যমে সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠা এবং ভালো ঘুম নিশ্চিত করা সম্ভব। ছোট ছোট পরিবর্তন দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে এবং ভোরে তাজা ও চনমনে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে