ঢাকা, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

৫০ এর পরও কমানো যাবে ওজন

লাইফস্টাইল ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০২ ২০:১৫:১৩
৫০ এর পরও কমানো যাবে ওজন

৫০ বছর বয়সের পর শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়া পরিবর্তিত হতে শুরু করে—পেশির গঠন, হরমোনের ভারসাম্য এবং বিপাকীয় হার ধীরে ধীরে বদলে যায়। এই পরিবর্তনগুলি ওজন কমাতে কঠিন করে তুলতে পারে, তবে সঠিক পথ অনুসরণ করলে এটি একদম অসম্ভব নয়।

ডায়েট বিশেষজ্ঞ ড. অর্চনা বাত্রা বলেন, “এই বয়সে শরীরের পেশি, হরমোন ও বিপাকক্রিয়ায় পরিবর্তন হয়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। তবে খাদ্যাভ্যাস, জীবনধারা এবং ব্যায়ামের প্রতি সচেতন হলে আপনি সুস্থ ও ফিট থাকতে পারবেন।”

তাহলে প্রশ্ন হলো, কিভাবে ৫০-এর পরেও শরীরের ওজন কমানো সম্ভব? বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস ও নিয়ম মেনে চললে এবং সামান্য সচেতনতা অবলম্বন করলে ওজন কমানো কঠিন হবে না।

১. ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে রাখুন

ওজন কমাতে চাইলে প্রথমত, অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। খাবারের ক্যালোরি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং ছোট প্লেটে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উপকারী।

২. দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন আনুন

শরীরের নমনীয়তা বজায় রাখতে পিলাটেস, যোগব্যায়াম এবং স্ট্রেচিংয়ের মতো অনুশীলন করুন। এসব অভ্যাস শরীরের মোবিলিটি বাড়াবে এবং চোট-আঘাতের ঝুঁকি কমাবে।

৩. কার্ডিও এক্সারসাইজ করুন

হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখার জন্য সাইক্লিং, সাঁতার, নাচ বা হাঁটার মতো শারীরিক কার্যকলাপ করুন। এগুলো ক্যালোরি বার্ন করতে সহায়তা করবে এবং শরীরের জন্য উপকারী।

৪. সুষম খাবার খান

প্রোটিন বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে পেশির গঠন বজায় রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং আপনার খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, সবজি, হোল গ্রেন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান অন্তর্ভুক্ত করুন।

৫. প্রসেসড ফুড থেকে দূরে থাকুন

ভাজা খাবার, অতিরিক্ত চিনি এবং প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বয়স বাড়লেও শরীরের যত্ন নিতে শেখা। সঠিক ডায়েট, নিয়মিত ব্যায়াম এবং ইতিবাচক মনোভাব আপনাকে ৫০-এর পরেও সুস্থ, ফিট এবং উদ্যমী রাখতে সহায়তা করবে। সময় এসেছে নিজেকে নতুনভাবে চিনতে এবং সুস্থ জীবনের পথে এগিয়ে যেতে!

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে