ঢাকা, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১

সুখবর: বিনা খরচে দেশে আসবে প্রবাসীদের লাশ

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০২ ০০:৫৯:০২
সুখবর: বিনা খরচে দেশে আসবে প্রবাসীদের লাশ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশি জীবিকা নির্বাহ করছেন। কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশ পাড়ি জমালেও অনেকের জীবনের শেষ ঠিকানাও হয়ে যায় এই প্রবাস। কর্মরত অবস্থায় অনেকে মৃত্যুবরণ করেন, আর তখনই শুরু হয় পরিবারের জন্য এক দুঃসহ পরিস্থিতি। মরদেহ দেশে ফেরত আনতে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়, যা অনেকের জন্যই সম্ভব নয়। অর্থের অভাবে মরদেহ মর্গে পড়ে থাকে, এমনকি কখনো কখনো বিদেশের মাটিতেই দাফন করতে হয়।

এই সংকটময় পরিস্থিতি লাঘবের জন্য এগিয়ে এসেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। সংস্থাটি ঘোষণা করেছে, মালদ্বীপে মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশি প্রবাসীদের মরদেহ বিনা খরচে দেশে ফেরত আনা হবে।

মালদ্বীপের আইনে স্পষ্ট বলা আছে, কোনো বিদেশি কর্মীর মৃত্যু হলে তার মরদেহ দেশে পাঠানোর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নিতে হয়। তবে যেসব কর্মী ফ্রি ভিসায় কাজ করছেন বা অবৈধভাবে কর্মরত, তাদের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়। অনেক সময় তাদের মরদেহ দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা, অতিরিক্ত খরচ ও মর্গের ভাড়া নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। এ কারণেই ইউএস-বাংলার এই উদ্যোগ প্রবাসীদের জন্য এক বড় সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।

বর্তমানে মালদ্বীপে প্রায় এক লাখ বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই নিম্ন আয়ের এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত। এ অবস্থায় ইউএস-বাংলার এই সেবা তাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।

মালদ্বীপে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের স্টেশন ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম জানান, "ইউএস-বাংলা সব দেশ থেকেই প্রবাসীদের মরদেহ বিনামূল্যে বহন করে থাকে, মালদ্বীপ থেকেও এর ব্যতিক্রম হবে না। আমরা সব বাংলাদেশির মরদেহ বহন করব।"

এই উদ্যোগের পর প্রবাসীরা আশা প্রকাশ করেছেন, ইউএস-বাংলার মতো অন্যান্য এয়ারলাইনসগুলোও একই ধরনের সেবা চালু করবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ বিমানকে এই উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে আরও বেশি প্রবাসী এই সুবিধা পেতে পারেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করতে ইউএস-বাংলার এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু প্রবাসীদের জন্য সহায়ক হবে না, বরং এয়ারলাইন্সটির সুনাম ও বিশ্বাসযোগ্যতাও আরও বৃদ্ধি পাবে।

প্রবাসীদের দুর্দশার কথা চিন্তা করে ইউএস-বাংলার নেওয়া এই মহতী পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে প্রবাসীদের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এবং বাংলাদেশি কর্মীরা আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিদেশে কাজ করতে পারবেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে