ঢাকা, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১

বিপিএলে ফিক্সিং কেলেঙ্কারি: ২ ওভারে ৪ নো বল ফেঁসে গেলেন সাইফউদ্দিন

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০১ ১৮:১৯:৪০
বিপিএলে ফিক্সিং কেলেঙ্কারি: ২ ওভারে ৪ নো বল ফেঁসে গেলেন সাইফউদ্দিন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০২৫-এ ফিক্সিং বিতর্কের নতুন এক অধ্যায় উন্মোচিত হয়েছে। এই বিতর্কে এবার নাম উঠে এসেছে দুর্বার রাজশাহীর সাবেক অধিনায়ক আনামুল হক বিজয়ের। দীর্ঘদিনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। বিজয়কে আপাতত দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, যদিও দোষ প্রমাণিত হয়নি। তদন্তের স্বার্থে তাকে দেশের বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না এবং ইমিগ্রেশন ইউনিটকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

বিজয়ের সঙ্গে আরও কিছু ক্রিকেটারের নাম শোনা যাচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এর পাশাপাশি, বিপিএলে আরেকটি স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে রংপুর রাইডার্সের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বিরুদ্ধে। তার বলিং স্পেল বিশেষভাবে সন্দেহজনক ছিল, বিশেষ করে খুলনা টাইগার্সের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে। ওই ম্যাচে সাইফুদ্দিন ইনিংসের ১৩ ও ১৭ নম্বর ওভারে চারটি নো বল করেছিলেন, যেগুলোর সবগুলোই ছিল স্টেপিং ওভার দ্য লাইন। এই বলিং স্পেলটি কৌতূহল সৃষ্টি করেছে এবং রাইডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজি বিসিবির কাছে তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করতে চায়নি রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট।

এদিকে, ফিক্সিং বিতর্কের সাথে সম্পর্কিত আলোচনা আগামী শনিবার হোম অফ ক্রিকেটে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিসিবি কর্মকর্তারা, আকুর সদস্যরা, কিছু ক্রিকেটার, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। এই বৈঠকে ফিক্সিংয়ের বিষয়টি গভীরভাবে আলোচনা করা হবে। সাব্বির রহমান এবং মিথুনসহ কয়েকজন ক্রিকেটারও এতে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, "তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে পারছি না, কারণ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। তবে যদি কারও বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে শাস্তি অত্যন্ত কঠোর হবে। দোষীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না এবং শাস্তি এমন হবে যা ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।"

বিপিএলে ফিক্সিং কোনো নতুন ঘটনা নয়। ২০১২ সালে লিগের যাত্রা শুরুর পর থেকেই ফিক্সিং বিতর্ক জড়িয়ে আছে। ২০১৩ সালের আসরে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল স্পট-ফিক্সিং ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন, যদিও তিন বছর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হয়েছিল। এ ঘটনার জেরে ২০১৪ সালে বিপিএল এক আসর পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় বিসিবি।

বিপিএলে ফিক্সিংয়ের এই নতুন অভিযোগগুলো ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এবং বিসিবি তাদের তদন্তে অগ্রসর হওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে