ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১

ওমানের ভিসানীতিতে কড়াকড়ি: বাংলাদেশি ও ভারতীয় শ্রমিকের উপর চাপ

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ৩১ ০০:১৮:৩০
ওমানের ভিসানীতিতে কড়াকড়ি: বাংলাদেশি ও ভারতীয় শ্রমিকের উপর চাপ

ওমানে প্রবাসী শ্রমিকদের সংখ্যা নিয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, যার পেছনে মূল কারণ দেশটির কঠোর ভিসানীতি। বিশেষ করে, বাংলাদেশি ও ভারতীয় শ্রমিকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগ (NCSI)-এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের তুলনায় ওমানে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১১ শতাংশ কমে বর্তমানে ৬ লাখ ৩৭ হাজার ১৫২ জনে দাঁড়িয়েছে।

শুধু বাংলাদেশিই নয়, একই চিত্র ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান শ্রমিকদের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে। কঠোর ভিসা নীতির ফলে এই দেশগুলো থেকে কর্মী নিয়োগ কমে যাওয়ায় ওমানে মোট বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবুও, বাংলাদেশ ও ভারত মিলিয়ে এখনও দেশটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক শ্রমিক কাজ করছে, যার সংখ্যা ১১ লাখেরও বেশি।

বাংলাদেশি ও ভারতীয় শ্রমিকদের সংখ্যা কমলেও পাকিস্তানি শ্রমিকদের সংখ্যা গত এক বছরে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই বৃদ্ধির ধারা কতদিন স্থায়ী হবে, তা অনিশ্চিত। কারণ, সম্প্রতি ওমান সরকার পাকিস্তানি শ্রমিকদের জন্যও ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।

অন্যদিকে, মায়ানমারের শ্রমিকদের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় দেশটি থেকে কর্মী আসার হার ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মায়ানমারকে ওমানের তৃতীয় বৃহত্তম শ্রম সরবরাহকারী দেশে পরিণত করেছে।

ওমানে কর্মী সরবরাহে নতুন প্রতিযোগী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে মিশর, সুদান এবং তানজানিয়া। সাম্প্রতিক সময়ে এই দেশগুলো থেকে আগত শ্রমিকদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, যা শ্রমবাজারের চেহারা বদলে দিচ্ছে।

ওমান সরকার তার দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা "ভিশন ২০৪০"-এর অংশ হিসেবে স্থানীয় নাগরিকদের জন্য আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির চেষ্টা করছে। এজন্য বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে আরও কঠোর নীতি গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্তমানে ওমানে মোট ১৮ লাখ ৮ হাজার ৯৪০ জন বিদেশি শ্রমিক কাজ করছে। তবে ভবিষ্যতে কঠোর ভিসানীতির কারণে এই সংখ্যা আরও কমে যেতে পারে, যা দেশটির শ্রমবাজারের গতিপথ বদলে দিতে পারে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে