ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১

সরকারি চাকুরিজীবীদের বিশাল দু:সংবাদ দিলো সরকার

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ২৪ ১৫:৫৭:১৯
সরকারি চাকুরিজীবীদের বিশাল দু:সংবাদ দিলো সরকার

বাংলাদেশের সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা (বিশেষ ভাতা) প্রদান বর্তমানে স্থগিত রাখা হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং সরকারি ব্যয়ের সীমাবদ্ধতার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মহার্ঘ ভাতা প্রদান স্থগিতের কারণ:

  • বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মুদ্রাস্ফীতির উচ্চ হারকে সামনে রেখে মহার্ঘ ভাতা প্রদান আপাতত স্থগিত করেছে সরকার।
  • ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয় মহার্ঘ ভাতার প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে পাঠালেও এটি নাকচ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি প্রদান করা অর্থনৈতিকভাবে যুক্তিসঙ্গত নয়, তবে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি বদলালে এটি পুনঃবিবেচনা করা যেতে পারে।

ভাতা এবং খরচ:

  • অর্থ মন্ত্রণালয় সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য ১০% থেকে ২০% হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার একটি প্রস্তাব তৈরি করেছিল।
  • এটি বাস্তবায়ন হলে সরকারের ৫,০০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হতো, যা বর্তমান সময়ে সরকারের জন্য বড় একটি চাপ হতে পারত।

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মুদ্রাস্ফীতি:

  • বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং সরকারি ব্যয়ের চাপ কমানোর জন্য মহার্ঘ ভাতা দেওয়া স্থগিত করা হয়েছে।
  • তারা আরও উল্লেখ করেছেন যে, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বেসরকারি খাতের তুলনায় যথেষ্ট ভালো, ফলে এই অবস্থায় মহার্ঘ ভাতা প্রদান আর্থিক দিক থেকে যুক্তিসঙ্গত নয়।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা:

  • ২০১৫ সালের জুলাইয়ে সর্বশেষ সরকারি বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হয়েছিল, এরপর প্রতি বছর ৫% ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে।
  • ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ২০% মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব ছিল, তবে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। বরং, ৫% ইনক্রিমেন্ট এবং ৫% প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
  • ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নতি হলে মহার্ঘ ভাতা পুনঃবিবেচনা হতে পারে।

বর্তমানে মহার্ঘ ভাতা স্থগিত থাকলেও, সরকার ভবিষ্যতে পরিস্থিতি উন্নতির সাথে সাথে এটি পুনঃবিবেচনা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে