নতুন পাঠ্যবইয়ে গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসে হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নাম বাদ দেওয়ায় রাজনৈতিক বিতর্ক

২০২২ সালের জুলাই-অগাস্টে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নতুন পাঠ্যবইয়ে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার নাম বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বইটির সংশোধন সংক্রান্ত বিষয়টি রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে, যেখানে ছাত্র আন্দোলন এবং গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ উল্লেখ থাকলেও আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার নাম নেই।
নতুন বইয়ে ওই আন্দোলনকে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, ‘আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা এক দফা দাবি পেশ করেছে এবং সারাদেশ থেকে মানুষ ঢাকায় ছুটছে’। তবে, এসব বিবরণে আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার নামের উল্লেখ না থাকায় এটি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
পরিমার্জন কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, পাঠ্যবইয়ে শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল, তবে অন্যান্য বইতে এর উল্লেখ অযৌক্তিক বলে মনে হয়েছে তাদের। এ বিষয়ে পরিমার্জন কমিটির সদস্য সাজ্জাদুর রহমান বলেছেন, তারা নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতার কারণে সবকিছু সঠিকভাবে করতে পারেননি।
এছাড়া, সপ্তম শ্রেণির বাংলা বইয়ে একটি কবিতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা চলছে। কবিতার ভাষা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এবং কিছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এটি মানসম্পন্ন না বলে উল্লেখ করেছেন।
নতুন পাঠ্যবইয়ে আদিবাসী শব্দের সাথে সম্পর্কিত গ্রাফিতি নিয়ে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামক সংগঠনটি গ্রাফিতির বিরোধিতা করে আন্দোলন করেছিল এবং এর পর তা সংশোধন করা হয়। তবে আদিবাসী জনগণের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়, যার ফলে সংঘর্ষ ঘটে এবং কয়েকজন আহত হন।
বইয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ‘সাবেক সেনাপ্রধান’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা বিএনপির পক্ষ থেকে ভুল হিসেবে দাবি করা হয়। এনসিটিবি বিষয়টি সংশোধন করেছে, তবে বিতর্ক এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়নি।
শিক্ষকরা বলছেন, পাঠ্যবইয়ের পরিমার্জন প্রক্রিয়ায় আরও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল, যাতে শিক্ষার্থীদের কাছে সঠিক এবং নিরপেক্ষ ইতিহাস পৌঁছায়। তারা মনে করেন, যদি পাঠ্যবইয়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব থাকে, তা সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে এবং দেশের ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, তারা কখনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পাঠ্যবইয়ের পরিমার্জন করেননি। তিনি বলেন, বিতর্কিত বিষয়গুলো সংশোধন করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের কাছে সঠিক ইতিহাস পৌঁছানোর জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।
এই পরিস্থিতি পাঠ্যবই সংশোধন প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক বিতর্কের উদাহরণ হয়ে উঠেছে, যা শিক্ষাব্যবস্থায় আরও সতর্কতা এবং নিরপেক্ষতার প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অলস টাকা আর নয়! শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুখবর দিল বিএসইসি
- পুঁজিবাজার সংকটে সরকার নিচ্ছে দ্রুত পদক্ষেপ: ৪ মূল সমস্যা চিহ্নিত
- গাজার মতো হামলার হুমকি বাংলাদেশকে! মুখ খুললো ভারতীয় মিডিয়া
- চীনের সহায়তায় পাঁচ জেলায় স্বাস্থ্য বিপ্লব: আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- শেয়ারবাজারে বড় পরিবর্তনের আভাস! বৈঠকে বসছে সরকার ও শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠান
- পুঁজিবাজার সংকটে সরকারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট, ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে বিনিয়োগকারীরা
- শেখ হাসিনার ৮ মিনিটের ভিডিও বার্তা: ইতিহাস, শিল্প ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
- আগামী দিনে বিশ্ব ক্রিকেটে দাপট দেখাবে যে পাঁচ ক্রিকেটার
- চট্টগ্রাম-১১ আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরা: বাবা-ছেলের লড়াই!
- রিয়াল মাদ্রিদ বনাম আর্সেনাল কোয়ার্টার ফাইনাল স্কোর আপডেট
- Real Madrid vs. Arsenal: একাদশ, পরিসংখ্যান ও ম্যাচ প্রেডিকশন
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ ও স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা
- ৫৪ বছরেই শেষ! আত্মহত্যা করলেন জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা নিকি ক্যাট
- বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিতের দোরগোড়ায় বাংলাদেশ, সামনে সহজ সমীকরণ