ঢাকা, বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১

সাইফ আলি খানের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে নিতে পারে ভারত সরকার

বিনোদন ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ২২ ২২:১০:২৭
সাইফ আলি খানের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে নিতে পারে ভারত সরকার

বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে নতুন আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়ের পর তার পরিবারের মালিকানাধীন আনুমানিক ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শত্রু সম্পত্তি আইন অনুসারে, এই সম্পত্তি সরকারের অধীনে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শত্রু সম্পত্তি আইন ও এই বিতর্কের সূত্রপাত

১৯৬৮ সালের শত্রু সম্পত্তি আইন অনুযায়ী, দেশভাগের সময় যারা পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন, তাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তি ভারত সরকার নিজের দখলে নিতে পারে। সাইফ আলি খানের পারিবারিক সম্পত্তির বিতর্ক এ থেকেই শুরু। ভোপালের নবাব হামিদুল্লাহ খানের তিন কন্যার মধ্যে একজন পাকিস্তানে চলে যান, আর অন্যজন ভারতে থেকে যান। সাইফ হলেন সেই কন্যার নাতি, যিনি ভারতে ছিলেন। তবে সরকারের মতে, পাকিস্তানে চলে যাওয়া কন্যার অংশীদারিত্বের কারণে এটি শত্রু সম্পত্তি হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।

কোন সম্পত্তিগুলো বিতর্কে রয়েছে?

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়ে উল্লেখ করা সম্পত্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইফের শৈশবের বাড়ি ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস, নূর-উস-সাবাহ প্রাসাদ, দার-উস-সালাম, আহমেদাবাদ প্রাসাদ, কোহেফিজা সম্পত্তি এবং আরও কিছু বিখ্যাত স্থাপনা।

পতৌদি প্রাসাদ ও সাইফের ভূমিকা

সাইফ আলি খান তার পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বহুবার কথা বলেছেন। ২০২১ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তার বাবা মনসুর আলি খান পতৌদি একসময় পতৌদি প্রাসাদ লিজ দিয়েছিলেন। হোটেল হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া এই প্রাসাদ পরবর্তীতে সাইফের মালিকানায় ফিরে আসে। এখন এটি তার গ্রীষ্মকালীন বাড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং মাঝে মাঝে শুটিংয়ের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়।

পতৌদি প্রাসাদের ঐতিহাসিক মূল্য

সাইফের বোন সোহা আলি খান সম্প্রতি পতৌদি প্রাসাদের ঐতিহাসিক পটভূমি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি জানান, এটি তাদের দাদী সাজিদা সুলতান ও দাদা নবাব ইফতিখার আলি খানের স্মৃতিবিজড়িত। ১৯৩৫ সালে তৈরি হওয়া এই প্রাসাদ নির্মাণকাজের মাঝপথে অর্থ সংকটের কারণে কিছু অংশে সিমেন্টের মেঝে ব্যবহার করতে হয়।

বর্তমান অবস্থা

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ২০১৫ সালে সম্পত্তিগুলোর ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে। এর ফলে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে এই সম্পদ সরকারি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ হবে।

পরিবারের প্রতিক্রিয়া

এখনও সাইফ আলি খান বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক বলিউড থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

এই সম্পত্তি আইনি বিতর্কের শেষ কোথায় গিয়ে থামে, তা নিয়ে সবার দৃষ্টি এখন সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে