ঢাকা, বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১

ভিসা প্রত্যাশীদের জন্য বিশাল সুখবর: আসলো চার হাজার ভিসার ঘোষণা

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ২২ ১০:৪৬:৩১
ভিসা প্রত্যাশীদের জন্য বিশাল সুখবর: আসলো চার হাজার ভিসার ঘোষণা

কর্মী সংকট মোকাবিলায় ইউরোপের দেশ গ্রিস ২০২৫ সালের জন্য ৮৯ হাজার ২৯০ জন বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে আগের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজার কর্মীকে ভিসা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে দেশটির সরকার।

গ্রিস সরকারের নতুন গেজেট প্রকাশ

গ্রিসের মন্ত্রিসভা একটি গেজেট পাস করেছে, যার মাধ্যমে তৃতীয় দেশ থেকে অভিবাসী কর্মী আনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশটির পর্যটন, নির্মাণ, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে প্রায় ৩ লাখ কর্মীর ঘাটতি রয়েছে।

কোন কোন খাতে কর্মীর ঘাটতি

গ্রিসের শ্রমবাজারে ডিশওয়াশার, ওয়েটার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, শেফ, স্পা থেরাপিস্টের মতো সেবামূলক কাজ ছাড়াও নির্মাণ খাতে কারিগর যেমন—ওয়েল্ডার, কাঠমিস্ত্রি, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, ভারি যন্ত্রপাতি চালক, সাইট ইঞ্জিনিয়ার এবং মেশিন অপারেটরের চাহিদা তীব্র।

বিশেষ করে কৃষিখাতে শ্রমিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। জমির মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে মৌসুমি শ্রমিকের অভাবে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।

নিয়োগের পরিকল্পনা

গ্রিস সরকারের ২০২৫ সালের গেজেট অনুযায়ী, মোট ৮৯ হাজার ২৯০ জনের মধ্যে:

৪৫,৬৭০ জনকে সিজনাল ভিসায় নিয়োগ দেওয়া হবে।

২,০০০ জনকে উচ্চ দক্ষতার কাজে আনা হবে।

৪১,৬৭০ জনকে নির্ভরশীল কর্মসংস্থানের (স্পন্সর ভিসা) আওতায় নেওয়া হবে।

এদের মধ্যে প্রায় ৯ হাজার কর্মী বাংলাদেশ ও মিশর থেকে আসবেন।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় কৃষি, বন, মৎস্য ও পর্যটন খাতে ৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দেয় গ্রিস।

অন্যদিকে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া গ্রিস-মিশর অভিবাসন চুক্তির আওতায় কৃষিখাতে ৫ হাজার মিশরীয় কর্মী মৌসুমি কাজের জন্য নিয়োগ পাবেন।

বাংলাদেশে গ্রিসের কোনো দূতাবাস না থাকায় ভিসা প্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের দুই বছর পার হলেও ভিসা প্রদানে লক্ষণীয় অগ্রগতি হয়নি। বাংলাদেশি কর্মীরা এজন্য স্থানীয় গ্রিস দূতাবাসের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা একটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া।

২০২৩-২৪ মেয়াদে গ্রিস সরকার এক লাখ ৪৭ হাজার ৯২৫ জন অভিবাসী আনার কোটা নির্ধারণ করেছিল। মূলত কৃষি, নির্মাণ, পর্যটন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে নিয়োগকারীদের চাহিদা পূরণের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

এই চুক্তি বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য একটি বড় সুযোগ। গ্রিসের মতো ইউরোপীয় দেশে কাজের সুযোগ পাওয়ার মাধ্যমে তারা নিজেদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন করতে পারবেন। তবে ভিসা প্রক্রিয়ার জটিলতা দ্রুত সমাধান করা না হলে এই সুযোগ কাজে লাগানো কঠিন হয়ে পড়বে।

গ্রিসের এই উদ্যোগ দেশটির শ্রমবাজারে দীর্ঘদিনের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। তবে দুই দেশের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়ার জটিলতা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে