ঢাকা, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১

পাকিস্তান-২৪১, বাংলাদেশ-২৯৮, অস্ট্রেলিয়া-৪০৪, ভারত-৪৪৭

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ১৯ ১৪:৩১:৪৫
পাকিস্তান-২৪১, বাংলাদেশ-২৯৮, অস্ট্রেলিয়া-৪০৪, ভারত-৪৪৭

বাংলাদেশের পেইসাররা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে তাদের পারফরম্যান্স দিয়ে সকলকে অবাক করেছে। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের পেসাররা যা করতে পারেনি, তা করে দেখিয়েছেন তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান। তাদের পরিসংখ্যান বলছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বাংলাদেশের পেসারদের উইকেট সংখ্যা অন্য দলের পেসারদের তুলনায় অনেক এগিয়ে। এমনকি, ওয়ানডে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার পেস ইউনিটের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশও সেরা পেস আক্রমণ হিসেবে উঠে আসছে।

বিগত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ নিজের প্রিয় ফরমেট ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করেছে। তাসকিন এবং মুস্তাফিজের নেতৃত্বে এই পেস ইউনিট নিজেকে দুনিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বাংলাদেশের পেসাররা যে অন্য দেশগুলির পেসারদের চেয়ে এগিয়ে, তা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট।

প্রথমেই দেখা যাক, ইংল্যান্ডের পেসারদের উইকেট সংখ্যা—তাদের স্কোয়াডে জফরা আর্চার এবং মার্ক উডের মত তারকা পেসার থাকলেও, তাদের সর্বমোট উইকেট ১৪৯। তবে বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমানের উইকেট সংখ্যা একাই ২৩টি বেশি, যা ইংল্যান্ডের সব পেসারদের মোট উইকেটের চেয়ে বেশি।

নিউজিল্যান্ডের পেস ইউনিটে লকি ফার্গুসন ও ম্যাট হেনরির মতো পেসাররা আছেন, তাদের পেসারদের মোট উইকেট ২৬২টি। কিন্তু বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমানের উইকেট সংখ্যা মিলে ২৮১টি।

পাকিস্তান সাধারণত আইসিসি ইভেন্টে শক্তিশালী পেস আক্রমণ নিয়ে থাকে, কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, তাদের সম্ভাব্য স্কোয়াডের পেসারদের উইকেটের পরিমাণ (২৪১টি) বাংলাদেশের পেসারদের উইকেটের তুলনায় অনেক কম। বাংলাদেশের পেস ইউনিটের উইকেট সংখ্যা ২৯৮টি, যা পাকিস্তানের পেস আক্রমণের চেয়েও অনেক বেশি।

ভারতের পেসাররা এই মুহূর্তে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে, তাদের শীর্ষ চার পেসারের উইকেটের মোট সংখ্যা ৪৪৭টি, যা সবচেয়ে বেশি। অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের উইকেট ৪০৪টি, প্রধান কারণ মিচেল স্টার্ক, যিনি একাই ২৪৪টি উইকেট নিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের উইকেট সংখ্যা ৩৩৫টি।

সব মিলিয়ে, বাংলাদেশের পেস আক্রমণ এই মুহূর্তে একেবারে সেরা অবস্থানে রয়েছে। তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাহিদ রানা এবং তানজিম সাকিবের মতো পেসাররা এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে বাংলাদেশ যথেষ্ট শক্তিশালী, তবে মাঠে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করতে হবে সবাইকে। সেমি-ফাইনালে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশের পেসারদের সেরা পারফরম্যান্সের প্রয়োজন হবে।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসর ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে। এই মঞ্চে তাসকিন এবং মুস্তাফিজুর রহমান তাদের সেরা বোলিং আক্রমণ দিয়ে বাংলাদেশকে সফলতার দিকে এগিয়ে নেবে, এমনটাই প্রত্যাশা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে