ঢাকা, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১

এইমাত্র পাওয়া: ব্যাপক সংঘর্ষ, থানার ওসিসহ আহত ৫০ জন

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ১৮ ১৮:৫৪:৫৯
এইমাত্র পাওয়া: ব্যাপক সংঘর্ষ, থানার ওসিসহ আহত ৫০ জন

ফরিদপুরের নগরকান্দায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এ সংঘর্ষে নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)সহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে সলিথা মাদরাসায় আয়োজিত এক ওয়াজ মাহফিলের সময় মিরাকান্দা ও সলিথা গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি তখনই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ, তবে উত্তেজনা পুরোপুরি থামানো সম্ভব হয়নি।

শনিবার ভোরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আবার বাড়তে থাকে। সলিথার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীকে সংঘর্ষে অংশ নিতে ডাকা হয়। সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দুই গ্রামের শতাধিক মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সংঘর্ষে ওসিসহ ৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া উভয় গ্রামের ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩০ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষ একে অপরের বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা চালায়। বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। সংঘর্ষের সময় নারী ও শিশুরা চরম আতঙ্কে দিন কাটিয়েছে।

ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ওসিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

তিনি আরও বলেন, "বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত আছে। পরবর্তী সংঘাত এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।"

প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেন, "উভয় পক্ষই সংঘর্ষে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামে। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হলে সবার মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।"

যদিও সংঘর্ষ থেমেছে, তবু এলাকায় উত্তেজনা এখনও বিদ্যমান। স্থানীয় প্রশাসন উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে। এলাকাবাসী আশা করছে, এ ধরনের ঘটনা এড়াতে প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

এ ধরনের সংঘর্ষ শুধুমাত্র এলাকাবাসীর জীবনের নিরাপত্তা বিপন্ন করছে না, বরং সামাজিক স্থিতিশীলতাও নষ্ট করছে। প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয়দের সচেতনতাও জরুরি হয়ে উঠেছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে