ঢাকা, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১

ব্রেকিং নিউজ: টিউলিপকে নিয়ে উত্তপ্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট, উঠেছে ড. ইউনূসের নামও

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ১৫ ২১:২৫:৪১
ব্রেকিং নিউজ: টিউলিপকে নিয়ে উত্তপ্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট, উঠেছে ড. ইউনূসের নামও

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তোলা বিভিন্ন প্রশ্নের মধ্যে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে।

ব্রিটিশ এমপিদের আলোচনায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবেশ ও বিচারিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তারা বিশেষভাবে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলাগুলোর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

অনেক এমপি অভিযোগ করেন যে, বাংলাদেশের বিচারিক ব্যবস্থার উপর রাজনৈতিক প্রভাবের ফলে সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিকের নামও আলোচনায় আসে। তার পরিবারের ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে বিরোধী দলের এমপিরা তার ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলাগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আগেই বিতর্ক ছিল। মানবাধিকার সংগঠন এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এ বিষয়ে গভীর নজর রাখছে। ব্রিটিশ এমপিরাও এ ব্যাপারে মতপ্রকাশ করে জানান, এই মামলাগুলো শুধু আইনগত বিষয় নয়, বরং বাংলাদেশের বিচারিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো একটি ঘটনা।

ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, যিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, এই প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তার রাজনৈতিক পরিচয় এবং পারিবারিক সংযোগের কারণে তাকে বিরোধী দলের সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসন নিয়ে আলোচনা করে আসছেন। ড. ইউনূসের মামলাগুলো নতুন করে এই ইস্যুগুলোতে আলোকপাত করেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের বিতর্ক ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়ার ফলে বাংলাদেশের ওপর কূটনৈতিক চাপও বৃদ্ধি পেতে পারে।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সাম্প্রতিক এই আলোচনা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও বিচারব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও বেশি নজরদারির আওতায় নিয়ে আসবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে