ঢাকা, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১

থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের হা ম লা, আ সা মি ছিনতাই

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ১০ ২৩:৫৫:৪৬
থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের হা ম লা, আ সা মি ছিনতাই

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানায় একটি নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে থানায় হামলা চালিয়ে একটি মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামিকে ছিনতাই করে নিয়ে গেছেন। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত সোয়া দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. তারিকুল ইসলামকে শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীনগর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারিকুল ১৯ সেপ্টেম্বর দায়েরকৃত ১৭(১১)২৪ নং মামলার প্রধান আসামি ছিলেন।

গ্রেপ্তারের খবর শুনে রাত ৯টার দিকে শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান থানায় ছুটে আসেন এবং তারিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাইয়ূম উদ্দিন চৌধুরীর উপর চাপ প্রয়োগ করেন।

এরপর শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন মৃধা জেমস, সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ, যুবদল নেতা রবিন ও অপু, সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এমদাদুল ইসলাম রজিন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম শুভ এবং সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক ইমনসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী থানায় উপস্থিত হন।

তারা থানায় প্রবেশ করে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে আসামি তারিকুলকে রুম থেকে বের করে নিয়ে যান। এ সময় তারা পুলিশকে ধাক্কা দেয় এবং ব্যাপক হট্টগোল সৃষ্টি করে। পরে আসামিকে দ্রুত মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাইয়ূম উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে তারা আসামিকে নিয়ে গেছে। অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আনিসুর রহমান জানান, “একটি মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনার পর বিএনপি এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা থানায় হট্টগোল শুরু করে। দুইজন ব্যক্তি ধাক্কা দিয়ে আসামিকে বের করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। হট্টগোলের কারণে বিষয়টি তৎক্ষণাৎ স্পষ্ট বোঝা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে পুনরায় গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

এ ঘটনায় শ্রীনগর উপজেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্তের পাশাপাশি আসামিকে পুনরায় গ্রেপ্তার এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

এ ধরনের ঘটনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে