ঢাকা, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১

ব্রেকিং নিউজ: বাংলাদেশে প্রথমবার ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত

স্বাস্থ্য ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ১০ ১১:৫৪:০৪
ব্রেকিং নিউজ: বাংলাদেশে প্রথমবার ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো রিওভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। পাঁচ জনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)। তবে আক্রান্তদের কারও ক্ষেত্রে গুরুতর জটিলতা দেখা যায়নি। চিকিৎসা শেষে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ভাইরাসটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন জানান, খেজুরের কাঁচা রস পান করে প্রতিবছর নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হন অনেকে। সম্প্রতি একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে আসা ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয়। এতে নিপা ভাইরাসের অস্তিত্ব না পাওয়া গেলেও পাঁচ জনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত হয়।

তিনি বলেন, "নতুন রোগজীবাণু অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সঙ্গে আমাদের নিয়মিত গবেষণার অংশ হিসেবে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।"

রিওভাইরাস মূলত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে দেখা দিতে পারে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, জ্বর, মাথাব্যথা, বমি এবং ডায়রিয়া। গুরুতর ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া বা এনকেফালাইটিস (মস্তিষ্কের প্রদাহ) হতে পারে। শিশুরা এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা এ ভাইরাসে বেশি ঝুঁকিতে থাকে।

বিশ্বে প্রথম রিওভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল ১৯৫০ সালে। শীতকালে এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।

গবেষণার নতুন দিগন্তঅধ্যাপক তাহমিনা শিরীন আরও বলেন, "দেশে অনেক এনকেফালাইটিস রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর সঠিক কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। রিওভাইরাস শনাক্ত হওয়া সেই রহস্য উদঘাটনে ভূমিকা রাখবে এবং রোগীর চিকিৎসায় সহায়ক হবে।"

স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। আক্রান্ত ব্যক্তিরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ভাইরাসটি এখন পর্যন্ত কোনো গুরুতর প্রভাব ফেলেনি।

জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঠাণ্ডা-কাশি বা জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া জরুরি।

রিওভাইরাস শনাক্ত হওয়া বাংলাদেশের স্বাস্থ্য গবেষণায় নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা করেছে। নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে এই ভাইরাস নিয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে, যা ভবিষ্যতে রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে