ঢাকা, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১

ওজন কমাতে খাবারে যেসব পরিবর্তন আনবেন

স্বাস্থ্য ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ০৫ ১২:৫৫:১৬
ওজন কমাতে খাবারে যেসব পরিবর্তন আনবেন

ওজন কমানোর জন্য শুধু কঠোর ব্যায়াম নয়, বরং খাদ্যতালিকাতেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে হবে। সঠিক খাবারের মাধ্যমে আপনি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারেন। চলুন, জেনে নিই ওজন কমাতে চাইলে খাবারে কোন পরিবর্তনগুলো আনতে হবে:

১. হোল গ্রেইন খান

সাদা চাল এবং ময়দার মতো মিহি শস্যের পরিবর্তে হোল গ্রেইন, যেমন বাদামি চাল, কুইনোয়া এবং পুরো গম দিয়ে তৈরি খাবার খান। এগুলোতে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পেট দীর্ঘ সময় পূর্ণ রাখে। এই খাদ্যগুলো খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

২. মৌসুমি শাক-সবজি খান

মৌসুমি শাক-সবজি যেমন গাজর, পালং শাক, মুলা এবং বিট শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এগুলোতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শীতকালে এই সবজিগুলোর উপস্থিতি বেশি, যা আপনাকে স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করে। ভাজা, স্যুপ অথবা তরকারির সঙ্গে মৌসুমি সবজি খেতে পারেন।

৩. উদ্ভিদ ভিত্তিক প্রোটিন

প্রোটিনের অভাব ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হতে পারে। মসুর ডাল, ছোলা, মটরশুটি, টোফু এবং সয়ার মতো উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এগুলো খেলে পেশী গঠনেও সাহায্য হয় এবং চর্বি কমাতে সহায়ক। এছাড়া, যদি আপনি ডিম বা চর্বিহীন মাংস খান, তাও আপনাকে দীর্ঘ সময় তৃপ্ত রাখতে সাহায্য করবে এবং ওজন কমাতে সহায়ক হবে।

৪. চিনি এবং পরিশোধিত শর্করা কমান

অতিরিক্ত চিনি এবং পরিশোধিত শর্করা ওজন বৃদ্ধির প্রধান কারণ। মিষ্টি, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, এবং চিনিযুক্ত পানীয় কম খাওয়া উচিত। এসব খাবারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক বিকল্প যেমন ফল, গুড় অথবা মধু বেছে নিতে পারেন। স্ন্যাকসের জন্য রোস্ট করা মাখন, বাদাম অথবা ঘরে তৈরি চাট স্প্রাউট খাওয়া ভালো।

৫. স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খান

সব ফ্যাট খারাপ নয়। বাদাম, বীজ, অ্যাভোকাডো, এবং সরিষা, নারকেল বা অলিভ অয়েল মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করুন। এগুলো হজমে সহায়তা করে এবং খাবারের স্বাদও বাড়ায়। তবে, ভাজা বা প্যাকেটজাত খাবার থেকে ট্রান্স ফ্যাট এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

ওজন কমানোর জন্য শুধু ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করলেই হবে না, সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। উপরোক্ত পরিবর্তনগুলি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যুক্ত করলে সহজেই ওজন কমানোর প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং আপনি সুস্থ, সুন্দর জীবন উপভোগ করতে পারবেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে