ঢাকা, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১

ওবায়দুল কাদেরকে কঠিন ধমক দিয়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন.....

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ০৩ ২৩:১৯:০৬
ওবায়দুল কাদেরকে কঠিন ধমক দিয়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন.....

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ একটি ফেসবুক পোস্টে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য ফাঁস করেছেন। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত "হাঁটে হাড়ি ভাঙা" শীর্ষক পোস্টে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধমক, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জানাজা, এবং শাপলা চত্বরের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। এই পোস্ট রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

সোহেল তাজ তার পোস্টে দাবি করেন, আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জানাজা তিনটি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। তিনি লেখেন, "সৈয়দ আশরাফের তিনটি জানাজা হবে শুনে শেখ হাসিনা বিরক্ত হন এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ধমক দিয়ে বলেন— ‘ও এত বড় কি হয়ে গেল যে ৩টা জানাজা পড়াতে হবে?’"

এর জবাবে ওবায়দুল কাদের পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁচুমাচু ভঙ্গিতে জানান, "নেতাকর্মীরা সৈয়দ আশরাফকে খুব পছন্দ করেন, তাদের দাবি না মানলে সামলানো কঠিন হবে।"

সোহেল তাজ তার পোস্টে আরও উল্লেখ করেন যে, শাপলা চত্বর ইস্যুতে সৈয়দ আশরাফকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। তিনি লেখেন, "আপনারা যারা আশরাফ ভাইকে শাপলা চত্বর নিয়ে দোষারোপ করছেন, তা সঠিক নয়। তিনি হয়তো কিছু কথা বলে থাকতে পারেন, কিন্তু সব সিদ্ধান্ত আসতো একেবারে ওপর থেকে।"

পোস্টের শেষ অংশে সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতৃত্ব এবং নীতি-আদর্শ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি লেখেন, "নীতি-আদর্শ বিচ্যুত খারাপ মানুষের প্রশংসা আমার প্রয়োজন নেই—আমি আপনাদের চিনি।"

তিনি আরও বলেন, "আওয়ামী লীগের ব্রেইনওয়াশড-নষ্ট-পঁচা নীতি বা আদর্শ বিচ্যুত লুটেরা-খুনি, হত্যা-গুম-নির্যাতনকারীদের সমর্থকদের বলব, অনতিবিলম্বে আমার এই ফেসবুক পেজ আনফলো করতে।"

সোহেল তাজের এই পোস্ট প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীরা এটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। কেউ কেউ তার মন্তব্যকে সাহসী বলে অভিহিত করেছেন, আবার কেউ বিষয়টিকে অপ্রাসঙ্গিক ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন।

সোহেল তাজের এই প্রকাশনা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং নেতৃত্বের নীতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত করেছে। তার মন্তব্য দলীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি করেছে। এখন দেখার বিষয়, এই বিতর্ক কীভাবে সামাল দেয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে