ঢাকা, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১

৭ দেশ থেকে ১৪ লাখ টন তেল কিনবে সরকার

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ০৩ ১৪:৫৯:২০
৭ দেশ থেকে ১৪ লাখ টন তেল কিনবে সরকার

সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে জ্বালানি তেল, রেলপথ উন্নয়ন, সয়াবিন তেল এবং মসুর ডাল কেনাসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বেশ কিছু প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান থেকে ১৪ লাখ ২৫ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করবে বাংলাদেশ। এই আমদানিতে ব্যয় হবে ৯৬ কোটি মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আমদানিকৃত তেলের মধ্যে গ্যাস অয়েল ৮ লাখ ৮০ হাজার টন, জেট এ-ওয়ান ১ লাখ ৯০ হাজার টন, মোগ্যাস ৭৫ হাজার টন, ফার্নেস অয়েল ২ লাখ ৫০ হাজার টন এবং মেরিন ফুয়েল ৩০ হাজার টন। চীনের পেট্রোচীনা ও ইউএনআইপিইসি, ভারতের আইওসিএলসহ মোট আটটি প্রতিষ্ঠান এসব তেল সরবরাহ করবে।

বৈঠকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সিলেট-ছাতক মিটারগেজ রেলপথ পুনর্বাসনে ২১৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পটি ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনে নতুন ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ২৯৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পূর্ত কাজের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

টিসিবির জন্য ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সয়াবিন তেল: সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে, যার প্রতি লিটার দাম পড়বে ১৭১ টাকা ৯৫ পয়সা।

মসুর ডাল: শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে। প্রতি কেজির মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ৯৪ টাকা ৯৫ পয়সা।

চট্টগ্রামের মহেশখালীতে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ প্রতিযোগিতামূলকভাবে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে জিটুজি ভিত্তিতে চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে এই কাজ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।

৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন এই প্রকল্পের আওতায় একটি ট্যাংক ফার্ম, একটি ভাসমান জেটি এবং ২২০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে, যা জ্বালানি খালাস কার্যক্রম দ্রুত এবং সাশ্রয়ী করবে।

বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো দেশের জ্বালানি, রেলপথ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সব প্রকল্প দ্রুত এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নীতিনির্ধারকরা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে