ঢাকা, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১

ব্রেকিং নিউজ: মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের সং ঘ র্ষ, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ০১ ২২:২৫:০৬
ব্রেকিং নিউজ: মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের সং ঘ র্ষ, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী

পাবনার বেড়ায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে বেড়া বাজার এলাকার কাদের ডাক্তারের মোড়ে এই সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বেড়ায় একাধিক মিছিল বের হয়। দুপুরের দিকে দুটি মিছিল কাদের ডাক্তারের মোড়ে এসে পৌঁছালে হালকা ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয় হাতিগাড়া ও বনগ্রাম সওদাগর পাড়ার বাসিন্দারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেলে পুলিশের উপরও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের মধ্যে বনগ্রাম মহল্লার রাহাত সওদাগর ও আবু হানিফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন:

শাকিল (২২)

তুষার সওদাগর (২৫)

রাসেল (২৫)

শাহজাহান (৩৮)

আয়মান (২৬)

মনিরুল (২২)

কাওসার (২৭)

ইমরান (২৯)

সোলাইমান শেখ (৪৫)

ইয়াছিন (২০)

এদের মধ্যে অনেকেই পৌর এলাকার বনগ্রাম, হাতিগাড়া ও শেখপাড়া মহল্লার বাসিন্দা।

সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর দুই প্লাটুন সদস্য এবং বেড়া, সাঁথিয়া ও আমিনপুর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অলিউর রহমান জানান,

“সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”

অন্যদিকে, বেড়া পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মানিক হোসেন সংঘর্ষের ঘটনাকে দলীয় নয় বলে দাবি করেন। তিনি বলেন,

“মিছিলে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের ছেলেদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এর সঙ্গে ছাত্রদলের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা এমন কিছু প্রত্যাশা করিনি।”

সংঘর্ষের কারণে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এ ধরনের ঘটনা দুই পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান বিরোধ এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির গুরুত্বকে সামনে নিয়ে আসে। স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসন উভয় পক্ষকেই ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে