ঢাকা, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১

এক ঘণ্টা সময় পেলেই বাংলাদেশ দখলে নেয়ার হু ম কি দিলো ভারতের.....

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ০১ ২১:৪৩:৫৩
এক ঘণ্টা সময় পেলেই বাংলাদেশ দখলে নেয়ার হু ম কি দিলো ভারতের.....

নতুন বছরের প্রথম দিনে বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছেন ভারতের নাগা সাধুরা। বুধবার (১ জানুয়ারি) গঙ্গাসাগরের মেলার প্রাক্কালে কপিলমুনির মন্দির এলাকায় এক সমাবেশে তারা দাবি করেন, মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ দখল করা সম্ভব।

নাগা সাধুদের অভিযোগ, বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর অত্যাচার চলছে এবং এ বিষয়ে ভারতের সরকার এবং প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এক সাধু বলেন,

“বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা আর সহ্য করা সম্ভব নয়। হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছে, অথচ মমতা ব্যানার্জি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। আমরা যদি তলোয়ার হাতে দাঁড়াই, তাহলে সব পালিয়ে যাবে।”

অপর এক সাধু আরও বলেন,

“যদি সরকার কিছু করতে না পারে, আমাদের ছেড়ে দিক। এক ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ দখল করব এবং সমস্যার সমাধান করে দেব।”

এই মন্তব্যগুলো এসেছে বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভীর সাম্প্রতিক একটি বক্তব্যের প্রেক্ষিতে। রিজভী তার বক্তব্যে বাংলার ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা একসময় একত্রিত ছিল, এবং এর দখল ছিল বাংলার হাতে।”

গঙ্গাসাগরের মেলা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পবিত্র উৎসব। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর হাজার হাজার পুণ্যার্থী এবং সাধু এখানে পূজা-অর্চনার জন্য উপস্থিত হন। এ বছর মেলার আগে নাগা সাধুদের এমন বক্তব্যে সাধারণ পুণ্যার্থীরা বিস্মিত।

মেলায় উপস্থিত সাধারণ পুণ্যার্থীরা মনে করছেন, দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার পটভূমিতে এই ধরনের বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। তাদের অনেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দাবি জানালেও, হুমকির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চান না।

এক পুণ্যার্থী বলেন,

“বাংলাদেশে যা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। তবে দুই দেশের সম্পর্ক ঠিকঠাক আছে। আমরা আশা করি, এই ধরনের মন্তব্য না করে সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে।”

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ থাকলেও কিছু বিষয় নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষা এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলো দুই দেশের রাজনৈতিক আলোচনায় স্থান পেয়েছে।

নাগা সাধুদের এই বক্তব্য অনেককেই উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা এবং ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এই ধরনের সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। বাংলাদেশ ও ভারতের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি উসকানিমূলক মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শান্তিকামী মানুষরা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে