ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি থমথমে, শিক্ষার্থীকে পিটানোর পর প্রফেসরের গায়ে হাত তুললেন এক সমন্বয়ক

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ৩০ ২৩:০০:২৭
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি থমথমে, শিক্ষার্থীকে পিটানোর পর প্রফেসরের গায়ে হাত তুললেন এক সমন্বয়ক

চট্টগ্রামে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার পর সমন্বয়ক প্রান্ত বড়ুয়া ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ঘটনার পর পুলিশ উপস্থিত হলে প্রান্ত বড়ুয়া হামলার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেন। তবে, মীমাংসা বৈঠকের সময় গ্রুপের আরেক শিক্ষার্থী ফরহাদ পাটোয়ারি, যিনি বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থী, সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিনহাজ হোসাইনের গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও অধ্যাপক মিনহাজ হোসেন জানিয়েছেন, এটি উদ্দেশ্যমূলক ছিল না। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনা সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারী গলি ক্যাম্পাসে ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রান্ত বড়ুয়া নামের এক সমন্বয়ক সিএসই বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীরকে ক্যাম্পাসের ফটকের সামনে মারধর করেন। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তানভীরকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে নিয়ে আসলে, প্রান্ত বড়ুয়া আবারও তার ওপর হামলার চেষ্টা করেন।

প্রান্ত বড়ুয়া আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। প্রাথমিকভাবে সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে তারা আইন বিভাগ ঘেরাও করে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং প্রান্ত বড়ুয়া হামলার বিষয়ে ক্ষমা চাইলে, বিষয়টি মীমাংসা হয়।

তবে বিকেলের দিকে আবারও একটি নতুন বিতর্ক উঠে আসে। জানা যায়, মীমাংসা বৈঠকের সময় ফরহাদ পাটোয়ারি নামে বিবিএ বিভাগের এক শিক্ষার্থী সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিনহাজ হোসাইনের গায়ে হাত তোলেন। যদিও অধ্যাপক মিনহাজ হোসেন বলেছেন, এটি এক ধরনের ভুলবশত ঘটনা ছিল এবং তিনি এটিকে গায়ে হাত তোলা হিসেবে বিবেচনা করছেন না। তিনি জানান, উত্তেজনার মধ্যে সিএসই ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন, এসময় তার গায়ে হাত লেগেছে।

এই বিষয়ে কথা বলতে প্রান্ত বড়ুয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ভীরের মধ্যে আছেন জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করার জন্য বলেন। তবে, পরে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, "এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার জেরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে, তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শিক্ষকরা বিষয়টি সমাধানের জন্য বসেছেন। যিনি হামলা করেছেন, তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে বিকেলের দিকে শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ গ্রুপে ধ্রুব দে নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, "আজ আইন বিভাগের একজন শিক্ষার্থী তানভীরকে মারধর করেছে, এবং পরে বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ পাটোয়ারি আমাদের বিভাগের শিক্ষক মিনহাজ হোসাইনের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। এটি মেনে নেওয়া যায় না। আমরা সবাইকে জিইসি ক্যাম্পাসে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।"

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা বিচার চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে