ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩১

ব্রেকিং নিউজ: আওয়ামী লীগ নেতাদের গোপন আশ্রয় স্থলের ঠিকানা ফাঁস

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ৩০ ২১:৫৯:৫৬
ব্রেকিং নিউজ: আওয়ামী লীগ নেতাদের গোপন আশ্রয় স্থলের ঠিকানা ফাঁস

বাংলাদেশে জুলাই ২০২৪-এর অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তার জন্য আওয়ামী লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। শেখ হাসিনার ৫ আগস্ট ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পরই শুরু হয় এই পালিয়ে যাওয়ার ধারা। বর্তমানে দলের সাবেক মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি, এবং নেতা-কর্মীরা কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সহ অনেক নেতা কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় গোপনে অবস্থান করছেন। নিউটাউনের ইকো পার্কে তার একটি ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তার বর্তমান অবস্থান নিশ্চিত করা যায়নি। তার সঙ্গে এমপি অসীম কুমার উকিল, অপু উকিল, এবং হাজি সেলিমের এক ছেলে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শিলং হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন এবং কলকাতায় আশ্রয় নেন। অন্যদিকে, সিলেটের প্রভাবশালী নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলকেও সঞ্চিতা আবাসনে দেখা গেছে।

কলকাতার রাজারহাট-নিউটাউন অঞ্চল আওয়ামী লীগের নেতাদের অন্যতম গোপন আস্তানা হয়ে উঠেছে। বিলাসবহুল আবাসনে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তারা। সিলেট স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবসার আজিজ, সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিঠু, এবং মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি নূর ই আলম চৌধুরী লিটনও এ অঞ্চলে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

আশ্রিত নেতারা মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করছেন এবং নিজেদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত যোগাযোগ রাখছেন। তারা হোটেলে থাকার পরিবর্তে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন।

কলকাতার বাইরেও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা আত্মীয়স্বজনের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গ্রেপ্তার এড়াতে কয়েকজন চিকিৎসকও পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছেন।

ভারতের স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজনীতিকরা এই নেতাদের বিষয়ে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করেননি। তবে রাজারহাট-নিউটাউনের নতুন অতিথিদের দিকে পুলিশের নজরদারি রয়েছে।

সঞ্চিতা আবাসনে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার খুনের ঘটনা প্রমাণ করে, এই এলাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের কার্যক্রম চলছে।

কলকাতাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগের নেতারা একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। তাদের বর্তমান সুনির্দিষ্ট অবস্থান নিশ্চিত করা কঠিন হলেও রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সূত্র থেকে এ বিষয়ে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতার কারণে এসব নেতাদের কলকাতায় অবস্থান দীর্ঘস্থায়ী হবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে তাদের উপস্থিতি কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে