ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

ইন্টারপোলের লাল তালিকায় ৬৩ বাংলাদেশি, দেখেনিন নাম গুলো ও শেখ হাসিনার অবস্থান

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ২৭ ২২:২৬:২১
ইন্টারপোলের লাল তালিকায় ৬৩ বাংলাদেশি, দেখেনিন নাম গুলো ও শেখ হাসিনার অবস্থান

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল) সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে লাল তালিকার (রেড নোটিশ) একটি হালনাগাদ প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় বিশ্বের মোট ৬,৬৫৮ জন সন্দেহভাজন অপরাধীর নাম রয়েছে, যার মধ্যে ৬৩ জন বাংলাদেশি।

বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ:

ইন্টারপোলের তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন অপরাধের জন্য এই ৬৩ জন বাংলাদেশিকে খুঁজছে বিভিন্ন দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে খুন, যৌন নির্যাতন, মুদ্রা জালিয়াতি, মানবপাচার, চোরাচালানি, এবং তছরুপ।

যুক্তরাষ্ট্রের খোঁজে:

জাহিদুল ইসলাম: যৌন নির্যাতনের অভিযোগ।

ফজলুল আমীন জাভেদ: অস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত।

ইউরোপ:

খোরশেদ আলম (লক্ষ্মীপুর): খুনের অভিযোগে বেলজিয়ামে খোঁজা হচ্ছে।

আফ্রিকা:

মো. মিলন ও লিটন ব্যাপারী (ঢাকা): ইসতাওয়ানিতে খুনের অভিযোগ।

মিজান মিয়া (নোয়াখালী): দক্ষিণ আফ্রিকায় খুনের অভিযোগ।

এশিয়া:

রাজু ঢালী (চাঁদপুর): সিঙ্গাপুরে খুনের অভিযোগ।

আজিজুর রহমান, অজয় বিশ্বাস, তরিকুল ইসলাম, সবুজ, আব্দুল আলীম শরীফ, মনির ভূঁইয়া, শফিকুল: মুদ্রা জালিয়াতির অভিযোগে ভারত খুঁজছে।

সিরাজ মোস্তফা (নাটোর): চোরাচালানির অভিযোগে মালয়েশিয়া।

আলা উদ্দিন (ফেনী): খুনের অভিযোগে মালয়েশিয়া।

হানিফ: তছরুপের অভিযোগে মালদ্বীপ।

বাংলাদেশ থেকে খোঁজা আসামি:

মানবপাচার: কিশোরগঞ্জের জাফর ইকবাল, স্বপন, মিন্টু মিয়া ও তানজীরুল, এবং মাদারীপুরের মোল্লা নজরুল ইসলাম।

পর্নোগ্রাফি: টাঙ্গাইলের ওয়াসিম।

অস্ত্র মামলা: গিয়াস উদ্দিন।

জালিয়াতি: জামালপুরের আমানুল্লাহ ও আতাউর রহমান।

নির্যাতন: চট্টগ্রামের অশোক কুমার দাশ।

রেড নোটিশ কীভাবে কাজ করে:

ইন্টারপোল ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে ১৯৬টি দেশ এর সদস্য। লাল তালিকা বা রেড নোটিশ একটি বিশেষ নোটিশ, যা এক দেশের অপরাধীকে আরেক দেশে শনাক্ত এবং আটক করতে সহযোগিতা করে। সংশ্লিষ্ট দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রমাণাদি ইন্টারপোলের সদর দপ্তরে জমা দেয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর ইন্টারপোল সিদ্ধান্ত নিয়ে রেড নোটিশ জারি করে।

বিশেষ দৃষ্টিকোণ:

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইন্টারপোলের এই তালিকায় বাংলাদেশের বর্তমান বা সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের নাম নেই। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম এই তালিকায় থাকার গুজব ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে।

ইন্টারপোলের সহযোগিতায় এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাদের যথাসম্ভব দ্রুত আইনের আওতায় আনার প্রচেষ্টা চলমান।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে