ব্রেকিং নিউজ: ভ য়া ব হ সং ঘ র্ষ চলছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন

মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আক্তার সিকদারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কালকিনির বাঁশগাড়ি এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার সকালে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যেখানে ধারালো অস্ত্রের পাশাপাশি ককটেলের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের সময় বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আক্তার সিকদার গুরুতরভাবে আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পৌঁছেছেন। তারা উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছেন। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংঘর্ষের মূল উস্কানিদাতাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সংঘর্ষের সময় ককটেলের বিস্ফোরণ ও ধারালো অস্ত্রের ব্যবহারে তারা ভীত হয়ে পড়েন। অনেকে নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সংঘর্ষের কারণ এবং জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। মাদারীপুর জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের কেউ রেহাই পাবে না।”

মাদারীপুরের কালকিনির সংঘর্ষে ইউপি সদস্যের নির্মম হত্যাকাণ্ড এলাকায় শোকের ছায়া ফেলেছে। প্রশাসনের তৎপরতায় পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে এলেও এলাকাবাসীর মধ্যে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।