এক নজরে দেখেনিন যে যে মন্ত্রীর দপ্তর পুড়ল সচিবালয়ের আগুনে
বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোরে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট প্রায় ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে আগুনের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি এবং এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।
অগ্নিকাণ্ডে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের বিশেষ কয়েকটি তলার মন্ত্রণালয়গুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৯ তলা: সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়।
৮ তলা: অর্থ মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
৬ ও ৫ তলা: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
৪ তলা: অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল জানিয়েছেন, "৮ ও ৯ তলায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।"
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী সরকার পরিবর্তনের পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বর্তমানে কারাগারে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নাজমুল হাসান পাপন এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন মন্ত্রী পলাতক বলে জানা গেছে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম অভিযোগ করেছেন, "এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।"
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান এবং ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ তৈরি করতে বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই অগ্নিকাণ্ড দেশের প্রশাসনিক কার্যক্রমে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ধ্বংস হয়ে গেলে অনেক সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি নিখোঁজ বা পলাতক মন্ত্রীদের প্রসঙ্গ এবং রাজনৈতিক পটভূমি বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
সচিবালয়ে এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড দেশের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্য একটি সতর্ক সংকেত হিসেবে ধরা হচ্ছে। এটি ভবিষ্যতে আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রশাসনিক দায় নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তাকে সামনে এনেছে। তদন্ত কমিটির ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যতের প্রশাসনিক নীতিমালা এবং দায়বদ্ধতার প্রশ্ন।
দেশের প্রশাসনিক ভবনে এমন ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে কোনো পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রয়েছে—তা উদ্ঘাটনে তদন্ত কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বিপিএল মাতিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে আসছেন দুই জন
- ১৪৪ ধারা জারি
- সমন্বয়ক সারজিস আলমের পরিবারে শোকের ছায়া
- এক ম্যাচের জন্য যত টাকা নিলেন রাসেল-জেমস ভিন্স-টিম ডেভিড
- ব্রেকিং নিউজ: নিষিদ্ধ হলেন তানজিম সাকিব
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আহত সারজিস আলম
- বিপিএলের ৮ ম্যাচে ফিক্সিং সন্দেহ, ফিক্সিংয়ে সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ
- ফরচুন বরিশালের একাদশ
- বিপিএল ফাইনাল ম্যাচের সময় সূচি
- ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ও দেশজুড়ে ভাঙচুরের পর আজহারী স্ট্যাটাস
- ফাইনাল ম্যাচের জন্য ফরচুন বরিশালের একাদশ
- বাড়লো আজকের সৌদি রিয়াল রেট
- কোয়ালিফায়ার ম্যাচের জন্য খুলনা টাইগার্সের সম্ভাব্য সেরা একাদশ
- ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ডিপজল গ্রেপ্তার
- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুখবর দিলেন জনপ্রশাসন সচিব