ঢাকা, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

ব্রেকিং নিউজ: বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কক্ষে তালা, ফের উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ২৫ ১৭:২৮:৪৪
ব্রেকিং নিউজ: বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কক্ষে তালা, ফের উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিরোধিতাকারী শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এর জেরে আন্দোলনবিরোধী শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষক ও কর্মকর্তারা সরাসরি ছাত্রলীগের পক্ষে অবস্থান নেন। তারা সহযোগী অধ্যাপক দেবু কুমার ভট্টাচার্য, ওয়ালী আহাদ সেতু এবং মো. জিয়াউর রহমান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এই শোভাযাত্রা থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার চেষ্টাও হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

এছাড়া ৪ আগস্ট শান্তি সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণকারী এসব শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অনেকেই এখনও কর্মস্থলে যোগ দেননি। শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রমাণ।

আন্দোলনবিরোধী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। ছাত্রদলের কর্মী জিব্রিল শরীফ জানিয়েছেন, "যেসব শিক্ষক ছাত্র আন্দোলনের সরাসরি বিরোধিতা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা বাধ্য হয়ে এ পদক্ষেপ নিয়েছি।"

তবে শেকৃবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির এ ঘটনার সঙ্গে সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে বলেন, "শাখা ছাত্রদলের কমিটির সদস্য ছাড়া কারও কাজের দায়ভার সংগঠন নেবে না।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আরফান আলী বলেন, "শিক্ষকদের কক্ষে তালা দেয়া বা এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।"

আন্দোলনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. সালাহ উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী জানান, "তদন্ত শেষের পথে, শিগগিরই সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।"

৫ আগস্টের পর অনুপস্থিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান যদি দাপ্তরিকভাবে জানায়, তাহলে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে।"

গণঅভ্যুত্থানের সাড়ে চার মাস পরও আন্দোলনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, প্রশাসনের এই নীরবতা তাদের আন্দোলন এবং ন্যায্য দাবির প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করছে।

ক্যাম্পাসে চলমান উত্তেজনা নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে