নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণের সুযোগ, জেনেনিন কী বলছে আইন
বাংলাদেশে জুলাই ও আগস্টের পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের গুঞ্জন উঠে এবং এরই মধ্যে নির্বাচন নিয়ে তাগাদা দিচ্ছে বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দলগুলো। এ পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা দেড় বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমার কথা জানিয়েছেন। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না।
শাহাদাত রিফাতের মতে, ছাত্রজনতার গণ আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, এবং এরপর থেকে আওয়ামী লীগ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এবং দলটি অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। এই পরিস্থিতিতে, শেখ হাসিনার পতনের পর সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা।
এ বিষয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার ১৯ ডিসেম্বর রংপুরে এক অনুষ্ঠানে বলেন, "এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোন বাধা নেই। আমরা চাই একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, যাতে সব দলই অংশগ্রহণ করতে পারে।" তবে, এর পরেই ওই রাতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা হলে, এটি জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের অবমূল্যায়ন হবে। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, তবে তারা বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, "এ দলটি ২০০০ শহীদের প্রাণ এবং ৩০,০০০ মানুষের অঙ্গহানি ঘটিয়েছে। তাদের নির্বাচন কার্যক্রম জন আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে।" তারা কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায়।
এরপর ২০ ডিসেম্বর রাতে, মজুমদার নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি জানান, "কোন দলকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা হলে, নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে পারে, কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত কোন দলের নিবন্ধন আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই।" তিনি আরও বলেন, "আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বা আইসিটি আইন অনুযায়ী বহু মামলা চলমান, যার মধ্যে শেখ হাসিনা এবং অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযুক্ত। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যক্রম এসব মামলার ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে।"
এদিকে, নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি কোনো দল আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় বা নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ হয়, তবে নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে পারে। এছাড়া, বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের আইন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হন, তবে তিনি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে গত তিন মাসে প্রায় ২০০ অভিযোগ জমা পড়েছে, যার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে আদালত এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বোর্ড মিটিং শেষ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশের ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা
- ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০তে উড়িয়ে দিয়ে আইসিসি রেটিংয়ে বড় লাফ বাংলাদেশের, দেখেনিন সর্বশেষ তালিকা
- ব্রেকিং নিউজ: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশের ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা
- বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ১৬ সদস্যের স্কোয়াডে দুইটি বড় চমক
- সব জল্পনা কল্পনার অবসান, ঘোষাণা দিয়ে দিলেন মুস্তাফিজ
- ঢাকার অবস্থা ভ*য়া*ব*হ খারাপ
- সাকিব-তামিমের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা নিয়ে বোর্ড মিটিং শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলো বিসিবি
- ব্রেকিং নিউজ: নি*হত ৮৫৮ জন, আ*হত ১১ হাজার ৫৫১ জন
- সৌদি রিয়াল রেটের বিশাল লাফ, দেখেনিন আজকের রেট কত
- হাসান আরিফের মৃত্যুতে শূন্য পদে নতুন উপদেষ্টা হিসেবে আসছেন যিনি
- ব্রেকিং নিউজ: হেলিকপ্টার দু*র্ঘ*ট*না*য় ভারতের সেনা প্রধান নি*হ*ত
- অবিশ্বাস্য হারে কমলো সৌদি রিয়াল রেট, দেখেনিন আজকের রেট কত
- অবিশ্বাস্য হারে বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট, দেখেনিন আজকের রেট কত
- সৌদি রিয়াল রেটের বিশাল লাফ, দেখেনিন আজকের রেট কত
- এইমাত্র পাওয়া : হুট করেই ভ*য়া*বহ স*ন্ত্রা*সী হা*ম*লা, ১৬ সেনা নি*হ*ত, আহত.......