ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশের চিঠি নিয়ে যা করলো ভারত

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ২৩ ২১:১৭:৪০
ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশের চিঠি নিয়ে যা করলো ভারত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে দেওয়া কূটনৈতিক বার্তা (নোট ভারবাল) গ্রহণ করেছে ভারত। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য ভারতকে নোট ভারবাল পাঠিয়েছে। এটি একটি স্বাক্ষরবিহীন কূটনৈতিক বার্তা, যা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে কূটনৈতিক যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন,

“আমরা নিশ্চিত করছি যে একটি প্রত্যর্পণের অনুরোধের বিষয়ে আজ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে একটি নোট ভারবাল পেয়েছি। তবে এই মুহূর্তে এ বিষয় নিয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়টি ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভারত বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় পড়বে। তিনি বলেন,

“ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে, এবং সেই চুক্তি অনুযায়ী বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর ব্যাপারে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি প্রণয়ন করেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একাধিক মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে:

গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ড।

গুম, ক্রসফায়ার এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ড।

মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড।

গত ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর ১৩ নভেম্বর ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করার উদ্যোগ নেয় প্রসিকিউশন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।

বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর জন্য আইনি ও কূটনৈতিক উদ্যোগ জোরদার করেছে। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলোতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার অগ্রগতি ভবিষ্যতে এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে