ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

কাঠবাদাম খাওয়ার সঠিক সময় ও উপকারিতা

স্বাস্থ্য ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ২৩ ১৪:১৭:৪২
কাঠবাদাম খাওয়ার সঠিক সময় ও উপকারিতা

কাঠবাদাম, যা ‘বাদামের রাজা’ হিসেবে পরিচিত, আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের একটি অত্যন্ত উপকারী উপাদান। এর পুষ্টি উপাদান এবং স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এটি অন্যতম প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, আঁশ, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্তু কাঠবাদাম খাওয়ার সঠিক সময় ও পরিমাণ কী হওয়া উচিত? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

কাঠবাদামের পুষ্টি উপাদান

এক মুঠ কাঠবাদাম (২৮ গ্রাম বা ২৩টি বাদাম) শরীরে নিম্নলিখিত পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে:

ক্যালরি: ১৬০

প্রোটিন: ৬ গ্রাম

স্বাস্থ্যকর চর্বি: ১৪ গ্রাম (এর মধ্যে ৯ গ্রাম মনোস্যাচুরেটেড, ৩ গ্রাম পলিস্যাচুরেটেড)

আঁশ: ৩.৫ গ্রাম

শর্করা: ৬ গ্রাম

ভিটামিন ই: ৭.৩ মিলিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার ৩৭%)

ম্যাগনেশিয়াম: ৭৬ মিলিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার ১৯%)

ক্যালসিয়াম: ৭৬ মিলিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার ৭%)

লোহা: ১ মিলিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার ৬%)

এছাড়াও কাঠবাদামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

কাঠবাদাম খাওয়ার সঠিক সময় ও পরিমাণ

দিনে এক মুঠ কাঠবাদাম খাওয়া শরীরের জন্য যথেষ্ট। এক মুঠে সাধারণত ৭-৮টি কাঠবাদাম থাকে। এই বাদাম গুলো পানিতে ভিজিয়ে বা দুধে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া কাঁচাও খাওয়া যায় এবং স্বাদ বৃদ্ধির জন্য বাদামগুলো ভেজেও খেতে পারেন। কাঠবাদাম খাওয়ার সঠিক সময় হল:

সকালে খালি পেটে: এতে কাঠবাদাম সারা দিন শরীরে শক্তি প্রদান করবে।

ব্যায়ামের আগে: ব্যায়ামের আগে কাঠবাদাম খাওয়া শরীরে দ্রুত শক্তি সঞ্চার করবে।

ব্যায়ামের পর: গ্রিক ইয়োগার্ট বা অন্যান্য প্রোটিন-জাতীয় খাবারের সাথে কাঠবাদাম খেলে পেশির ক্ষয়পূরণে সাহায্য করে।

রাতে: কাঠবাদাম রাতে খেলে ঘুমের উন্নতি হয়, কারণ এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম মনকে শান্ত করে এবং অনিদ্রা কমায়।

কাঠবাদামের সাথে সেরা খাবারের সংমিশ্রণ

কাঠবাদামের পুষ্টি উপাদান দ্রুত শোষণের জন্য কিছু খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া ভালো:

আপেল বা কলার সাথে: এটি আঁশ ও প্রাকৃতিক শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে।

টক দই বা দুধের সাথে: এটি ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ায়।

হলুদ বা দারুচিনি মেশানো কুসুম গরম দুধ: এটি সেবন করলে শরীরের জন্য উপকারী।

ডার্ক চকলেট: কাঠবাদামের সাথে মিশিয়ে একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার পাওয়া যাবে যা হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী।

ওটমিল, চিড়া বা সুজি: কাঠবাদাম মিশিয়ে এসব খাবারে স্বাস্থ্যকর চর্বি ও প্রোটিন যোগ হবে।

বিশেষ অবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা

কাঠবাদাম শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ, ক্রীড়াবিদদের শক্তি বৃদ্ধি, অন্তঃসত্ত্বা নারীদের পুষ্টি এবং ডায়াবেটিস ও হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য উপকারী। তবে, যাদের কিডনিতে পাথর রয়েছে, তাদের কাঠবাদাম খাওয়া উচিত নয়।

কাঠবাদামের স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং সঠিক সময় ও পরিমাণে খাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে নিয়মিত এটি খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে