ঢাকা, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

আসলো নতুন ঘোষণা: জাতীয় দলে একসাথে ফিরছেন সাকিব ও তামিম

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ২২ ১৫:৫০:৫৮
আসলো নতুন ঘোষণা: জাতীয় দলে একসাথে ফিরছেন সাকিব ও তামিম

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালকে নিয়ে আলোচনা যেন থামছেই না। সম্প্রতি প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ বলেছেন, সাকিব ও তামিম আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য "এভেইলেবল টু বি সিলেক্টেড"। তবে এই বক্তব্যের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, বিসিবির পরিকল্পনা আসলে কতটা সুস্পষ্ট এবং তাদের সিদ্ধান্তের ভিত্তি কী?

তামিম ইকবাল ইনজুরি কাটিয়ে এনসিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। সেখানে ৯১, ৬৮, এবং ৬৭ রানের ইনিংস খেলে নিজের ফিটনেস এবং ফর্মের প্রমাণ দিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচকরা তার ফিটনেস নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। প্রশ্ন উঠছে, যদি তামিম ফিট না হন, তাহলে কীভাবে তিনি এনসিএলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে পারলেন?

তামিম নিজেই জানিয়েছেন, তার ফিটনেস নিয়ে নির্বাচকদের কাছ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট পরামর্শ পাননি। এই দ্বিধা পরিস্থিতি বিসিবির পরিকল্পনার অসংগতি তুলে ধরছে।

সাকিব আল হাসান তার মানসিক অবস্থার কারণ দেখিয়ে কিছুদিন জাতীয় দলে খেলেননি। তবে টি-টেন এবং অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তিনি খেলছেন, যা তার শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতির প্রশ্নকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিসিবি কি সাকিবের মানসিক সমস্যার সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে? নাকি বিষয়টি শুধু আলোচনা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ?

সাকিব এবং তামিমকে ঘিরে বিসিবির পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, তারা "এভেইলেবল টু বি সিলেক্টেড"। কিন্তু এই মন্তব্যের পেছনে স্পষ্ট পরিকল্পনা নেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বাংলাদেশ দলের কোনো ওয়ানডে ম্যাচ নেই, ফলে তাদের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের সুযোগও সীমিত। তাহলে সিলেকশন কীসের ভিত্তিতে হবে?

একই ধরনের ঘটনা দেখা গেছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ক্ষেত্রে। বিশ্বকাপের আগে তার পারফরম্যান্স মূল্যায়নের কথা বলা হলেও, শেষ পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়াই তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সাকিব এবং তামিমের ক্ষেত্রেও কি একই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে?

সাবেক বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সময় সাকিব এবং তামিম ইস্যু সবসময় আলোচনায় ছিল। পাপন তার মন্তব্যের মাধ্যমে বিষয়গুলোকে আলোচনার কেন্দ্রে রাখতেন। বর্তমান প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের বক্তব্যও সেই ধারাবাহিকতারই অংশ।

জাতীয় দলের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে এমন অস্পষ্টতা দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। সাকিব ও তামিমকে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে। ফিটনেস, মানসিক প্রস্তুতি, এবং পারফরম্যান্স মূল্যায়নের জন্য বিসিবিকে লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার অবস্থান নিতে হবে।

জাতীয় দলে কারা খেলবেন এবং কী মানদণ্ডে নির্বাচন হবে, তা নিয়ে পুরো জাতি বিসিবির কাছ থেকে একটি পরিষ্কার বার্তা আশা করছে। সাকিব এবং তামিমকে ঘিরে বিতর্ক যতদিন জিইয়ে রাখা হবে, ততদিন জাতীয় ক্রিকেটে অস্থিরতা থেকেই যাবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে