ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

জাকের-শামীমকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার দিতে সুপারিশ করলেন ইয়ান বিশপ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ২১ ১৪:৫৬:১৮
জাকের-শামীমকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার দিতে সুপারিশ করলেন ইয়ান বিশপ

‘স্পিরিট অব দ্য গেম’ বা ক্রিকেটের ঐতিহ্যবোধ এবং খেলাধুলার মূলনীতি রক্ষা করার জন্য প্রতিবছর আইসিসি পুরস্কৃত করে থাকে এমন দল বা ব্যক্তিদের, যারা এই মূল্যবোধসমূহের প্রতি শ্রদ্ধা দেখান। এবার সেই পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যান জাকের আলী অনিক ও শামীম পাটোয়ারির নাম। এই সুপারিশটি করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ।

এ বছরের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এক বিশেষ মুহূর্তের কারণে জাকের ও শামীমের নাম এই পুরস্কারের জন্য উঠে এসেছে। ঘটনাটি ঘটে বাংলাদেশ ইনিংসের ১৪তম ওভারের সময়। গুড়াকেশ মোতির করা প্রথম বলটি মিড উইকেট বাউন্ডারির দিকে পাঠান জাকের। বলটি সীমানার দিকে চলে যাচ্ছিল, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডার ওবেদ ম্যাকয় ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু সফল হতে পারেননি এবং তার হাতে আঘাত লাগে।

এ সময় জাকের ও শামীম দুজনেই দৌড়ে রান নিতে থাকেন, কিন্তু দ্বিতীয় রান নেওয়ার পর তারা বুঝতে পারেন যে, ম্যাকয় আঘাত পেয়েছেন এবং তার জন্য বলটি আবারও মাঠে ফেরত পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। এই উপলব্ধি হওয়ার পর, বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান তৃতীয় রান নেওয়া থেকে বিরত থাকেন। তারা পুরোপুরি খেলার নীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করেন, যা ইয়ান বিশপকে মুগ্ধ করে।

বিশপ এই ঘটনাকে ‘গ্রেট স্পোর্টসম্যানশিপ’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং পরে এক্স (পূর্ববর্তী টুইটার) প্ল্যাটফর্মে এটি ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করেন। বিশপ লিখেছেন, "যদি আইসিসি ২০২৪ সালের স্পিরিট অব ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড দেয়, আমার পরামর্শ সেই মুহূর্তটিকে দেওয়ার, যখন সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জাকের আলী ও শামীম হোসেনের রানের জন্য দৌড় থামিয়ে দেন, এটা বুঝতে পেরে যে, আউটফিল্ড ক্যাচ নিতে গিয়ে ওয়েব ম্যাকয় আঘাত পেয়েছেন।"

২০১১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই পুরস্কারটি মূলত খেলোয়াড়দের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তবে ২০২৩ সালে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে দল। বর্তমানে, বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড় এই পুরস্কারটি পাননি, তবে জাকের ও শামীমের এই বিশেষ মুহূর্তটি হয়তো বাংলাদেশের প্রথম পুরস্কার হিসেবে চিহ্নিত হবে।

এটি ক্রিকেটের মূল্যবোধ ও খেলার শালীনতার প্রতি এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এবং আশা করা যায় যে, জাকের ও শামীমের এই মহৎ উদ্যোগ ক্রিকেটের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে